জেলার বিভিন্ন জায়গাতেই ইতিমধ্যে রাস্তার আশেপাশে খেজুর গুড় বিক্রেতারা স্টল খুলে বসেছেন। মূলত খেজুর গুড় ব্যবসায়ীরা এসেছেন নদীয়া জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে। তবে খেজুর গুড় প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। বিভিন্ন জায়গায় যেখানে খেজুর গাছের বাগান রয়েছে, সেই বাগানের লিজ নিয়েছেন তাঁরা। বাগান পরিষ্কার করা, গাছ প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়েছে আশ্বিন মাস থেকেই।
advertisement
আরও পড়ুন: খরচ কম, লাভ বেশি! শীতে গাঁদা ফুল চাষ করলেই হবেন মালামাল, জানুন বিস্তারিত
যে জায়গাগুলিতে বিক্রেতা স্টল তৈরি করেছেন, তার পাশেই করেছেন থাকার ব্যবস্থাও। সেখানেই কয়েক মাস তাঁরা থাকবেন। প্রত্যেকদিন সকালবেলা গিয়ে খেজুর রস সংগ্রহ করার পর সেখান থেকে তৈরি হবে গুড়। যা বেশ কয়েক ঘন্টার প্রক্রিয়া। অনেকেই সকালবেলায় দোকানগুলিতে আসছেন টাটকা তৈরি হওয়া সেই খেজুর কিনতে। তাছাড়া নলেন গুড়ের তৈরি নবাত, যা বর্ধমানের বিখ্যাত, সেটি কিনতেও ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের একমাত্র সূর্য মন্দির রয়েছে শিলিগুড়িতে! দেখুন ভিডিও
বিক্রেতারা বলছেন, আরও বেশি করে যখন শীত পড়বে, তখন আরও বেশি করে খেজুর রস পাওয়া যাবে। ফলে সে সময় কিছুটা দাম কমতে পারে বলে আশায় রয়েছে ক্রেতারা। তবে মরশুমের প্রথম খেজুর গুড়ের স্বাদ অসামান্য। এমনটাই একমত ক্রেতাদের। বিক্রেতারা বলছেন যে, ভাল খেজুর গুড় কিনতে গেলে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সেটুকু টাকা খরচ করে মানুষজন খেজুর গুড়ের স্বাদ নিতে প্রস্তুত।
নয়ন ঘোষ