উল্লেখ্য়, এদিন রাজু সাহানির তিন আইনজীবী প্রদীপ কর, সৌমেন চট্টোপাধ্যায় ও আশীষ মুখোপাধ্যায় তার জামিনের জন্য জোরদার সওয়াল করেন। সিবিআইয়ের তদন্ত পদ্ধতি নিয়েপ্রশ্ন তোলেন তাঁরা। পাশাপাশি সামনে মহালয়া ও দুর্গাপুজো থাকার প্রসঙ্গ তুলে যেকোনও শর্তে রাজু সাহানিকে জামিন দেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী শীবেন্দ্র সাচান বিপক্ষের জবাবে, রাজু সাহানির বিরুদ্ধেপ্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করেন। পাশাপাশি বলেন, তিনি এই চিটফান্ড থেকে সুবিধা ভোগ করেছেন। এই মামলায়আরওতদন্ত করছে সিবিআই। তাই তিনি সরাসরি জামিনের বিরোধীতা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বড় খবর! ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহেই প্রাথমিকের টেট? শুরু জল্পনা
প্রসঙ্গত,গত ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করার পরে রাজু সাহানিকে ৫ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে পেয়েছিলতদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই মেয়াদ শেষে গত ৮ সেপ্টেম্বর তাকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেদিন রাজু সাহানির জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন এসিজেএম। সেই মতো এদিন আসানসোল জেল থেকে তাকে এসিজেএমের এজলাসে তোলা হয়। কিন্তু এদিনের সওয়াল জবাব শেষেও জামিনুপেলেন চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তছা হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্য়ান রাজু সাহানি। অন্য় দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতারএই বছরের পুজো তাঁকে জেলে বলেই কাটাতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন রাঁধুনির কাছে রয়েছে মারাত্মক তথ্য, অনুব্রতকে আরও ঘিরছে সিবিআই! নিশানায় সুকন্যাও
যদিও এদিনসিবিআইয়ের তরফে তাকে আবার হেফাজতে নেওয়া বা জেলে গিয়ে জেরা করার জন্য কোন আবেদন করা হয়নি। উল্টোদিকে, রাজুর আইনজীবীদের তরফে তাকে যে কোন শর্তে জামিন দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে ও প্রভাবশালী তকমা দিয়েসিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, জামিন পেলে তিনিসাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। কারণ তিনি খুবই প্রভাবশালী। তাই তিনি রাজু সাহানির জামিনেরবিরোধিতা করেন ও তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর জন্য সওয়াল করেন। যদিও প্রভাবশালী প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার আইনজীবীরা বলেন,তিনি একটা পুরসভার চেয়ারম্যান। এটাই প্রভাবশালী হওয়ার একমাত্র তত্ত্ব? তাঁর একটা সম্মান আছে। তাই যে কোন শর্তে আমাদের মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক। কিন্তু সিজিএম শেষ পর্যন্ত রাজু সাহানির জামিন নাকচ করে ২৩ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।






