আরও পড়ুন: শোলাগ্রামের শিল্পীদের হাতের কাজেই সেজে উঠবেন দেবী দুর্গা
দুর্গাপুর শুষ্ক বন্দর থেকে শুরু হয়েছে এই ইলেকট্রিক হেভি ভেহিকেলের ট্রায়াল। উল্লেখ্য, পূর্ব ভারতের অন্যতম ড্রাই ডক এটি। এই বন্দর থেকে দেশ-বিদেশে পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। সেখানেই এবার পণ্য পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হবে হেভি ইলেকট্রিক ভেহিকেল। নির্মাতা সংস্থার দাবি, ভারী পণ্যবাহী এই ইলেকট্রিক ট্রাকটি একশো শতাংশ চার্য হতে সময় লাগে খুই কম। মাত্র এক ঘণ্টায় ফুল চার্জ হয়ে যায়।
advertisement
সংস্থা সূত্রে খবর, একবার গাড়িটি চার্জ করলে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে সক্ষম। দুর্গাপুর শুষ্ক বন্দর থেকে এই ট্রাকটি ট্রায়াল রানে যাবে কলকাতা বন্দরে। সেখানে ঠিক করা হবে এই ইলেক্ট্রিক হেভি ভেহিকেলের জন্য কোথায় চার্জিং স্টেশন তৈরি করা হবে। যেহেতু দেশেজুড়ে সর্বত্র চার্জিং পয়েন্ট লাগানোর ব্যবস্থা গড়ে উঠছে, তাই ইলেকট্রিক হেভি ইভি’র চাহিদা আগামী দিনে আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর ভারী পণ্য নিয়ে এই পণ্যবাহী ট্রাকটি একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে মাল নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বছরে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা সাশ্রয় করবে।
তবে এই সব কিছুকে ছাড়িয়ে যে বাণিজ্যিক বিষয়টি মূলভাবে উঠে আসছে তা হল রাজ্য বা আন্তরাজ্য সড়ক পরিবহণ ক্ষেত্রে পারমিট ট্যাক্স। ডিজেল বা পেট্রল গাড়ির জন্য যে সড়ক পরিবহণ পারমিট ট্যাক্স দিতে হয়, এই ভারী পণ্যবাহী ইলেকট্রিক গাড়িটির ক্ষেত্রে কোনও পারমিট ট্যাক্স লাগবে না। এক কথায় পারমিট ফ্রি গাড়ি হিসেবে এটি ইতিমধ্যেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে বাণিজ্যিক মহলে। সংস্থা সূত্রে খবর, দূষণহীন গাড়িটির দাম প্রায় এক কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা।
নয়ন ঘোষ