তবে দুর্গাপুরে এবার শ্রমিকদের আয়োজিত গণেশ পুজো অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। একটি কারখানার শ্রমিকরা উদ্যোগ নিয়ে গণেশ পুজোর আয়োজন করেছেন। ইতিমধ্যেই তার উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। এক শিক্ষক করেছেন পুজোর উদ্বোধন। উদ্বোধনের দিন ওই শিক্ষকের হাতে আঠারো হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। গরিব ও দুস্থ পড়ুয়াদের পড়াশোনার জন্য এই টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষকের হাতে।
advertisement
এতদিন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল বিভিন্ন কারখানায় জাঁকজমক সহকারে বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন দেখতেই অভ্যস্ত। তবে এবার চিত্রটা কিছুটা বদল হয়েছে কিন্তু বিশ্বকর্মা পূজো ছেড়ে হঠাৎ জাঁকজমক করে গণেশ পুজোর সিদ্ধান্ত কেন? উদ্যোক্তারা বলছেন, কারখানার মঙ্গল কামনায় মূলত বিশ্বকর্মা পুজো হয়। যাতে করে কারখানা সচল থাকে, যাতে কোনও দুর্ঘটনা না হয়। অন্যদিকে গণেশের বন্দনা করা হয় সিদ্ধিপ্রাপ্তির জন্য। জীবনের বাধা বিঘ্ন দূর করতে হয় সিদ্ধিদাতার আরাধনা।
আরও পড়ুন: West Midnapore News: দুয়ারে সরকার কর্মসূচির পর এবার দুয়ারে ডাক্তার কর্মসূচি
এখন বিভিন্ন জায়গায় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কোথাও সময় মতো মিলছে না বেতন। কোথাও আবার হঠাৎ করে শ্রমিকরা কাজ হারাচ্ছেন। এমন ধরনের বিঘ্ন যাতে ওই কারখানা শ্রমিকদের জীবনে না আসে, তাই বিঘ্নহর্তার আরাধনায় মেতে উঠেছেন দুর্গাপুরের কারখানার ওই শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের উদ্যোগে আয়োজিত এই গণেশ পুজো বড়োসড়ো করেই আয়োজন করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে কারুকার্য সম্বলিত একটি মন্ডপ। রয়েছে আলোর খেলা। কারখানা সংলগ্ন ময়দানে হয়েছে গণেশ পুজোর আয়োজন। শ্রমিকরা এই পুজোর আয়োজন করতে পেরে ভীষণভাবে খুশি। অন্যদিকে বহু দর্শনার্থীরা এখানে এসে হাজির হচ্ছেন। অন্যদিকে, ধীরে ধীরে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ছে গণেশ পুজোর জাঁকজমক।
Nayan Ghosh