Money Making Idea: হাতের কাজেই আয়ের দিশা! বাঁশের ঝুড়ি-কুলো বানিয়ে ভাল টাকা লাভ করছেন মাহালিরা, দিন দিন বাড়ছে চাহিদা
- Published by:Sneha Paul
- hyperlocal
- Reported by:Dipika Sarkar
Last Updated:
Money Making Idea: বাঁশের ঝুড়ি, কুলো সহ নানা সামগ্রী বানিয়ে উপার্জন করেন ঝাড়খণ্ডের মাহালি সম্প্রদায়ের মানুষ। ১৫০-২০০ টাকা দিয়ে বাঁশ কেনেন। সেটি দিয়ে নানা আকারের প্রায় ৭-৮ টি ঝুড়ি হয়। সেগুলি কত টাকায় বিক্রি হয় জানেন?
দুর্গাপুর, দীপিকা সরকারঃ দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে ঝাড়খণ্ডের তপসিলি উপজাতি মাহালিদের হস্তশিল্পের চাহিদা রয়েছে। সেই কারণে ঝাড়খণ্ড থেকে এক ডজন মাহালি পরিবার দুর্গাপুরের কাঁকসায় দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে বসবাস করছেন। তাঁদের পেশা হল বাঁশের ঝুড়ি, কুলো সহ নানা সামগ্রী তৈরি করে পানাগড় সহ দুর্গাপুরের বাজারগুলিতে বিক্রি করা। অতি দরিদ্র পরিবারগুলি কাঁকসার সিলামপুরের রাস্তার পাশে মাটির ঘর করে থাকেন। ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে তল্লা বাঁশ পাওয়া যায়। ঝুড়ি সহ নানা সামগ্রী তৈরিতে এই তল্লা বাঁশই ব্যবহার করা হয়।
বর্তমানে প্রতিটি বাঁশের বাজার দর ১৫০-২০০ টাকা। একটি বাঁশ দিয়ে নানা আকারের প্রায় ৭-৮ টি ঝুড়ি তৈরি হয়। সেই সমস্ত ঝুড়ি ৩০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করেন মাহালি সম্প্রদায়ের কারিগরেরা। সারাবছর ঝুড়ি ও বাঁশের নানা সামগ্রী তৈরি করে স্থানীয় বাজার-হাটে বিক্রি করে জীবনজীবিকা অর্জন করছেন তাঁরা। পরিবারের আট থেকে আশি সকলেই এই ঝুড়ি তৈরির কাজে লিপ্ত থাকেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ টাকার ভাঁড় বেচেই ৭৫ বছর ধরে আয় দুর্গাপুরের ব্যবসায়ীর! তবে ব্যবসাতে রয়েছে অন্যরকম বিজনেস আইডিয়া
সারাদিনে গোটা বাঁশ কেটে নানা প্রক্রিয়াকরণ করে ঝুড়ি, কুলো, ফলের সাজি সহ বিভিন্ন সামগ্রী বুনতে বসেন ওই পরিবারের সদস্যরা। ওই ঝুড়ি কারিগরদের দাবি, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে মাহালি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। বংশপরম্পরায় তাঁরা বাঁশের ঝুড়ি তৈরি করে জীবনজীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।
advertisement
advertisement
পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড। সেখান থেকেই রুজিরুটির টানে মাহালি পরিবারের লোকজন কাঁকসা এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেছেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেই ঝুড়ি তৈরির অনেক স্থানীয় কারিগর রয়েছেন। বহু পরিবারের মহিলা থেকে পুরুষ সকলেই ঝুড়ি, কুলো ও নানা সামগ্রী তৈরি করেন। তবু দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে ঝুড়ির চাহিদা থেকে যায়। জোগান দিতে হিমসিম খান স্থানীয় হস্তশিল্পীরা।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দুর্গাপুজোর সময় ও অবাঙালিদের ছট পুজোর সময় শহর সহ গ্রামগঞ্জে ঝুড়ির চাহিদা তুঙ্গে থাকে। সেই সময় স্থানীয় ও মাহালি পরিবারের তৈরি ঝুড়ি কম পড়ে যায়। ভিন জেলা ও ঝাড়খণ্ড সহ ভিনরাজ্য থেকে শিল্পাঞ্চলের বাজারে ঝুড়ি আমদানি হয়। ঐতিহ্যবাহী বাঁশের ঝুড়ির কদর দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে বলে দাবি হস্তশিল্পীদের। মাহালি পরিবারের সদস্যরা জানান, বাঁশের ঝুড়ির বিকল্প হিসেবে বাজারে ছোট থেকে বড় নানা ডিজাইনের প্লাস্টিকের ঝুড়ি এসেছে। কিন্তু তাঁদের দাবি, প্লাস্টিকের ঝুড়ি এলেও বাঁশের ঝুড়ির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Barddhaman (Bardhaman),Barddhaman,West Bengal
First Published :
November 05, 2025 6:57 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Money Making Idea: হাতের কাজেই আয়ের দিশা! বাঁশের ঝুড়ি-কুলো বানিয়ে ভাল টাকা লাভ করছেন মাহালিরা, দিন দিন বাড়ছে চাহিদা
