ক্রমবর্ধমান লজিস্টিক শিল্পের চাহিদার কথা মাথায় রেখে অত্যাধুনিক এই কার্গো টার্মিনালটি তৈরি করা হয়েছে। একদম আধুনিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে এই টার্মিনাল তৈরি করতে। যা পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা দেবে এবং লজিস্টিক শিল্পের চাহিদা পূরণ করতে পারবে।
আরও পড়ুন ঃ বিশ্বাসঘাতক প্রমিক! সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক’ ফাঁসের ভয়ে যা করলেন গৃহবধূ
advertisement
নতুন তৈরি হওয়া টার্মিনাল অত্যাধুনিক পরিষেবা দিতেও প্রস্তুত। সেখানে এক্সবিআইএস মেশিন রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সর্বক্ষণ নজরদারির জন্য থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা। থাকছে অত্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। লজিস্টিক শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের বাড়তি অফিস তৈরির জন্য জায়গা রয়েছে এই কার্গো টার্মিনালে।
অন্ডাল বিমানবন্দর সূত্রে খবর, এই টার্মিনালটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিল, বেঙ্গল অ্যারোট্রোপলিস প্রজেক্টস লিমিটেড। কার্গো-এর সমস্ত কাজ বা অপারেশন শুরু করার জন্য ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সমস্ত অনুমোদনও পাওয়া গিয়েছে। বিমানবন্দর কর্তাদের আশা, এই কার্গো টার্মিনাল বিমানবন্দরের ব্যবসাকে আরও অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন ঃ পশ্চিম বর্ধমানের এই শিবমন্দিরে উপচে পড়া ভিড়, বাবার মাথায় জল ঢালার পর মেলে প্রসাদ
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেঙ্গল অ্যারোট্রোপলিস প্রজেক্টস লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও সিএফও অঞ্জু মাদেকা বলেছেন, কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের এই কার্গো টার্মিনালটি সারাদেশে বাণিজ্য তথা দ্রুত পণ্য নিয়ে আমদানি ও রপ্তানি ব্যবস্থাকে সহজতর করে তুলবে। বছরে প্রায় ২৫,০০০ মেট্রিক টনের ওপর কার্গো পৌঁছে দেওয়া যাবে এই টার্মিনালের মাধ্যমে।
অববাহিকা অঞ্চলেও অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী কার্গো চলাচলেরও বিশাল সম্ভাবনা থাকছে। ফল, কাঁচা সব্জি, মাছ সহ দৈনন্দিন ই-কমার্স, ঔষধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি, নানা যন্ত্রাংশ এবং খুচরা জিনিসপত্র নিয়ে
বানিজ্য করতে এই কার্গো টার্মিনালের ব্যাবহার করা হবে।
আরও পড়ুন ঃ দুর্গাপুরের আকাশে উড়ল চন্দ্রযান ৩, যুবকের কেরামতি দেখে সাবাশ বলছে শহর!
অনুষ্ঠানে এসে এক কার্গো এজেন্ট বলেছেন, অন্ডাল বিমানবন্দর কৌশলগতভাবে এই অঞ্চলের এয়ার কার্গো ব্যবসা বানিজ্য করার জন্য আদর্শ। কার্গো টার্মিনালের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে এক নতুন রাস্তা খুলে দেবে। বিমানবন্দরটি জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত। তাই অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে। এই এয়ার-কার্গো দ্রুত পচনশীল পণ্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময় এবং পরিবহন খরচ অনেকটাই বাঁচাবে।
Nayan Ghosh