গ্রামের মাটির বাড়িগুলি সুন্দর করে রঙ দিয়ে সাজানো হয়েছে। এখানে প্রত্যেকটি আদিবাসী উৎসব পালন করা হয় সেই পুরনো আঙ্গিকে। যে উৎসবের মূল কেন্দ্র প্রকৃতি। সেখান থেকে উঠে আসে প্রকৃতি রক্ষার সদর্থক বার্তা। এই গ্রামে পালন করা হয়েছে বাহা পরব। এই উৎসবে তারা যেমন দোলের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন, তেমনভাবেই আদিবাসী নাচ-গান হয়েছে। হয়েছে প্রকৃতির পুজো। এই উৎসবের দ্বিতীয় দিনে গাছের পুজো করেন তারা।
advertisement
আরও পড়ুন : আনন্দের রং মেখে ছবি তুলুন প্রিয় তারকাদের সঙ্গে! এখানে এলে হোলি হবে আরও রঙিন
বাহা পরব শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই গ্রামের মানুষজন মরশুমি নতুন কোনও ফল খান না। পরিবারের কোনও মহিলা সদস্যরা এই সময় নতুন কোনও ফুল তোলেন না গাছ থেকে। আবার প্রকৃতির রঙে দোল খেলেন তারা। জলে মেশানো হয় ফুল। কিন্তু কোনও রঙয়ের ব্যবহার হয় না এখানে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি হারামডি গ্রাম পশ্চিম বর্ধমান জেলার মানচিত্রে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। বেশ কিছু পর্যটকের আনাগোনা বাড়ছে এই গ্রামে।
পাশাপাশি এই সমস্ত আদিবাসী উৎসবগুলি দেখার জন্য উৎসুক হয়ে পড়ছেন মানুষ। অন্যদিকে গ্রামের বাসিন্দারা আদিবাসী ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাইছেন। আধুনিকতার বদলে তারা সেই পুরনো রীতিনীতি ধরে রাখতে চাইছেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
যে কারণে সমস্ত আদিবাসী উৎসব পুরানো দিনের সমস্ত নিয়ম মেনে পালন করা হয়। যেখানে হয় প্রকৃতির পুজো, প্রকৃতির আরাধনা।
নয়ন ঘোষ