শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বেশ কয়েক দফায় ২০-৪০ কেজি করে মাছের চারাও দেওয়া হয় তাঁদের। সেই মাছ বড় করে বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছেন তাঁরা। তবে বর্তমানে পুকুরটির গভীরতা কমে যাওয়ায় ও জল কম থাকায় মাছ বড় হতে বেশ সময় নিচ্ছে বলে দাবি ওই মহিলাদের। ফলে আয়ের পরিমাণও অনেকটাই কমেছে। তাঁদের দাবি, জলাশয়টি সংস্কার করা হলে আরও ভাল আয় করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। ১০০ দিনের কাজ শুরু হলে পুকুর সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন ইছাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।
advertisement
উল্লেখ্য, মহিলাদের স্বনির্ভরতার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এলাকায় এলাকায় ১০ জন, ১৬ জন, কোথাও আবার ২০ জন করে মহিলাকে একত্রিত করে একটি করে গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে। ওই গোষ্ঠীর মহিলাদের ব্যবসা করার জন্য স্বল্প সুদে ব্যাঙ্ক লোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে যুক্ত করা হয়েছে। এর আগে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা থেকে শুরু করে স্কুল ড্রেস তৈরির দায়িত্ব তাঁদের দেওয়া হয়েছে। এমনকি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাল, ডাল সহ অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাছের চারা বিলির দায়িত্বও গোষ্ঠীর মহিলাদের দেওয়া হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে রাজ্যজুড়ে এমন বহু মহিলা গোষ্ঠী রয়েছে, যাদের কেউ মাশরুম চাষ, কেউ হাঁস-মুরগি পালন করে, তো কোনও গৃহিণী বাড়িতে বসে আচার, বড়ি, ভুজিয়া ইত্যাদি সামগ্রী তৈরি করে সেগুলি বাজারজাত করে সহজেই স্বনির্ভর হচ্ছেন। দুর্গাপুর শহর সংলগ্ন যমুনা গ্রামের মহিলারাও মাছ চাষ করে স্বনির্ভরতার পথ খুঁজে পেয়েছেন।





