Deul Park: দেউল পার্কে নিয়ম ভাঙার প্রতিযোগিতা! নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হরিণদের মুখে বাইরের খাবার, উদ্বেগে বন দফতর
- Published by:Nayan Ghosh
- hyperlocal
- Reported by:Dipika Sarkar
Last Updated:
West Bardhaman Deul Park: দুর্গাপুরের দেউলে পার্কে পর্যটনের মরশুমে বাড়ছে ভিড়। একইসঙ্গে নিয়ম ভেঙে হরিণদের বাইরের খাবার দিতে উদ্যত হচ্ছেন তাঁরা।
advertisement
এই বছর গড় জঙ্গলে পাকা রাস্তা হওয়ায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই বন্য প্রাণীতে ভরপুর ওই গভীর জঙ্গলের অনুকূল পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন দফতর। শীতের মরশুমে পর্যটকদের আনাগোনাও শুরু হয়ে গিয়েছে।উইকেন্ডে পিকনিক জমে উঠেছে অজয় নদীর পাড়ে।
advertisement
স্থানীয় ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কাঁকসা ব্লকের গড় জঙ্গল। শাল, পিয়াল সহ নানান বিলুপ্তপ্রায় গাছগাছালির গভীর ওই জঙ্গলে রয়েছে হিংস্র জীবজন্তু ও বিষধর সাপখোপ, ময়ূর সহ বহু প্রজাতির পাখি। জীবজন্তুর মধ্যে রয়েছে নেকড়ে, শেয়াল, গন্ধগোকুল, সজারু, বুনো বিড়াল, বন শূকর এমনকি নীল গাই ও হনুমান সহ বহু বন্য প্রাণী। এছাড়াও পাইথন সাপ সহ বহু প্রজাতির বিষধর সাপখোপও ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে জঙ্গলে।
advertisement
ওই গভীর জঙ্গলের গৌরাঙ্গপুর দেউলের জঙ্গলে পূর্ব বর্ধমান বন বিভাগের অধীনে রয়েছে একটি মৃগ উদ্যান। যেখানে সংরক্ষণ করা আছে শতাধিক চিতল হরিণ। জীবজন্তু ছাড়াও ওই জঙ্গলে ঐতিহ্যবাহী ইচ্ছাই ঘোষের মন্দির, গড় জঙ্গলে রয়েছে শ্যামরুপা দুর্গা মন্দির। দেউল থিম পার্ক ও জঙ্গলের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে অজয় নদ। মনোরম ও প্রাকৃতির সৌন্দর্যে ভরপুর জঙ্গলে এক সময় লাল মাটির রাস্তা ছিল। জঙ্গলের রাস্তার বেহাল দশার কারণে পর্যটকদের আনাগোনা কম ছিল। তবে পাকা রাস্তা হওয়ায় এই বছর পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে।
advertisement
বন দফতরের ওই মৃগ উদ্যানের গেটে ব্যানারে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে " বাইরের থেকে কোনও রকম খাবার হরিণকে দেবেন না "। তবে সেটা কেবল বাংলা অক্ষরে লেখা। স্থানীয় সহ পর্যটকদের দাবি, ওই পর্যটন কেন্দ্রে অবাঙালি বহু পর্যটক আসেন। যাঁরা বাংলায় লেখা ওই বিজ্ঞপ্তি বুঝতে পারেননা। পাশাপাশি অনেক বাঙালি বুঝেও সচেতন হয়না৷ বন দফতরের ওই বিজ্ঞপ্তি হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় লেখা থাকলে হরিণকে বাইরের খাবার খাওয়ান থেকে অনেকটাই বিরত থাকবে পর্যটকরা। এছাড়াও জঙ্গলে নজরদারিও বাড়ানো প্রয়োজন।
advertisement
বন দফতরের দুর্গাপুর রেঞ্জ অফিসার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হরিণগুলি দ্রুত সেফ করিডোরে রাখা হবে। ফলে পর্যটকরা অনেক হরিণ এক সাথে দেখতেও পাবেন। বাংলা ভাষার পাশাপাশি হিন্দি ও ইংরেজিতে সতর্কতা জারি করা হবে দ্রুত। এছাড়াও পর্যটকদের জন্য একাধিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বন ও বন্য জীবজন্তু সহ পর্যটকদের সুরক্ষায় আমাদের কড়া নজরদারি থাকবে। (ছবি ও তথ্য: দীপিকা সরকার)







