বর আর কনেপক্ষ মিলিয়ে গ্রামের প্রায় হাজার খানেক মানুষ শামিল হন বিয়েতে। হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের বাসিন্দারাই ছিলেন বিয়েতে। বিয়ে ঘিরে চলল নাচ-গান এবং চারা গাছ বিতরণ। গ্রামের অধিকাংশ মানুষের দীর্ঘদিনের বিশ্বাস, বট-পাকুড়ের বিয়ে দিলে এলাকার কল্যাণ হয় এবং বাসিন্দাদের সম্পদলাভ হয়। কিন্তু এই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে গ্রামের মানুষকে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করতে।পাত্র পাকুড় গাছের পিতা পঞ্চানন বর্মন জানান, নিজের ছেলে মেয়ে না থাকায় ২০ বছর আগে পাকুড় গাছটি লাগিয়েছিলেন। পাশেই বট গাছ লাগিয়েছিলেন শঙ্কর পন্ডিত।
advertisement
আরও পড়ুন: নাক ডেকে ঘুমোচ্ছেন শিক্ষিকা! বাতাস করছে ছাত্রী! স্কুলে পড়াশুনোর বদলে এসব কী! ভাইরাল ভিডিও
আরও পড়ুন: সারা রাত চুলে তেল মেখে ঘুমোচ্ছেন? সর্বনাশ করছেন না তো! এই পদ্ধতিতে তেল না মাখলেই বিপদ!
গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় এই বিয়ের আয়োজন করেছেন। তবে উদ্দেশ্য একটাই, গ্রামবাসীদের বৃক্ষরোপণে উৎসাহী করে তোলা। পাত্রী বট গাছের বাবা শঙ্কর পন্ডিত জানান, গাছেরও প্রাণ আছে, গ্রামের মানুষের মধ্যে এই সচেতনতা আনতেই এতবড় আয়োজন।পঞ্জিকা দেখে বিয়ের দিন ঠিক হয়, বাসিন্দাদের অনেকে চাল-ডাল, টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন। শাড়ি-ধুতি কিনে বিয়ের বাজার হয়েছে। বিয়েতে প্রায় হাজার লোকের নিমন্ত্রণ ছিল। রাড়িয়া, রায়পুর, কাশিবাটি, সোনাডাঙ্গি, রাঙ্গাপুকুর গ্রামে মাইকিং করে বিয়েতে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিয়ের আসরের পাশেই ছিল রান্নার আয়োজন। খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। খাবারের তালিকায় ছিল ভাত, মুগের ডাল, তরকারি, পাঁপড়, চাটনি, দই ও মিষ্টি।
পিয়া গুপ্তা





