ছোট থেকেই পাহাড় জয় করার স্বপ্ন নারায়ণবাবুর। তবে পেশার টানে কখনও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অবশেষে তাঁর সেই স্বপ্নপূরণ। তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের মাউন্টেনিয়ার্স অ্যান্ড ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে।
আরও পড়ুন: হোটেলের ফ্রিজ খুলতেই চোখ কপালে ফুড অফিসারদের, এ সব কী? মারাত্মক কাণ্ড দুর্গাপুরে
এভারেস্ট শৃঙ্গজয়ের জন্য এই সংস্থার মারফত বেশ কিছু কঠিন প্রশিক্ষণ নেন তিনি। চন্দ্রনারায়ণ বাবু জানান, শুধু তিনি নন, তাঁর সঙ্গে এভারেস্ট জয়ের সাক্ষী ছিলেন রায়গঞ্জের বেশ কয়েকজন পর্বতারোহী। অভিযাত্রী দলের সদস্যদের কেউ ছিলেন শিক্ষক। কেউ বা কেরানি। কেউ বা আবার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তাঁর মধ্যে অন্যতম ছিলেন বছর ৬৫ এক বৃদ্ধ।
advertisement
আরও পড়ুন: আর লুকোছাপা নয়! বেবি-বাম্প নিয়েই বিরাটের সঙ্গে হোটেল লবিতে অনুষ্কা, দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম কবে?
সকলে প্রশিক্ষণ নিয়েই ৮৫ ঘণ্টা পায়ে হেঁটে সমস্ত প্রতিকূলতার অতিক্রম করে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে ভারতের পতাকা তুলে ধরেন। পতাকা তুলে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ও সকলেই একসঙ্গে মিলে সেখানে পরিবেশন করেন। এদিন সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এভারেস্টের বেস ক্যাম্প থেকে সুরক্ষিত ভাবে পাঁচ সদস্যের একটি দল ফিরে আসেন রায়গঞ্জে।
পর্বতারোহী পেশায় শিক্ষক চন্দ্র নারায়ণ সরকার জানান , “রায়গঞ্জ থেকে এভারেস্টে পৌঁছতে ১২ দিন সময় লেগেছিল। ৮৫ ঘণ্টা পায়ে হেঁটে দুর্গম সেই পথ জয় করতে হয়।” নারায়ণ বাবু জানান, “পাহাড়ের নিকটবর্তী স্থানীয় মানুষগুলো ভীষণ ভাল। তাঁরা সর্বদাই পর্বতারোহীদের বিভিন্ন ভাবে বেশ সাহায্য করেন।”
পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করা যে কোনও পর্বতারোহীর কাছেই স্বপ্ন এবং প্রতি বছরই এভারেস্ট অভিমুখী পর্বতারোহীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতির অভাব-সহ নানা কারণে অনেকেই দুর্ঘটনায় পড়েছেন। এমনকী মারাও গিয়েছেন অনেক পর্বতারোহী। সেই অবস্থায় রায়গঞ্জের পাঁচজন পর্বতারোহী সুস্থভাবে বাড়ি ফেরায় খুশি জেলার সাধারণ মানুষ।
পিয়া গুপ্তা