বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, ম্যাগাজিন সহ বই লিখেছেন তিনি। বইয়ের সংখ্যাটা প্রায় পনেরোর বেশি। এই বই লেখার মধ্য দিয়ে অবশ্য জীবনে আনন্দ খুঁজে পান কালীপদবাবু। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে এসে পড়াশোনা, পিএইচডি, শিক্ষকতা এবং পরবর্তীতে বই লেখা। এতেই সারাদিন বুঁদ থাকেন। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের গুণ এবং সারাদিনের ভাবনাচিন্তা বেশ চমকপ্রদ।
আরও পড়ুনঃ আগামী দিনে বাড়তে পারে গরম, খরার সম্ভাবনা! আশঙ্কার খবর শোনাচ্ছেন আইআইটির গবেষকরা
advertisement
কালীপদবাবুর ভাবনা মূলত বিশ্লেষণধর্মী, বিভিন্ন বিষয়ের উপর সমালোচনা, অজানা বিষয়কে সামনে আনা। কখনও বিদ্যাসাগরের সঙ্গে সাংবাদিকতার যোগ, কখনও আবার বঙ্কিমচন্দ্রের চরিত্রের নানা দিক বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। সাহিত্যিক মনোজ দাস সম্পর্কে মূলত এই অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের গবেষণা। এরপর থেকে তিনি একাধিক বিষয়ে বই লিখেছেন। মনোজ দাস, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ফকির মোহন সেনাপতি সহ একাধিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে সমালোচনামূলক লেখা লিখেছেন তিনি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লকের জাহালদা এলাকার বাসিন্দা কালীপদ প্রধান। গ্রাম থেকে পড়াশোনা শুরু। এরপর মেদিনীপুর ও তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। স্কুলজীবনের শিক্ষকের সম্পাদিত একটি বইয়ের সামান্য কিছুটা অংশ লেখা থেকেই লেখালেখির শখ। এরপর প্রতিনিয়ত সময় বের করে তিনি লিখেছেন। পেশাগতভাবে শিক্ষক হলেও তাঁর নেশা বই লেখা। প্রায় সাত বছর আগে অবসর নিয়েছেন। তবে বই লেখা থামেনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এখনও অনেকে বই পড়েন কালীপদবাবু। তবে এই অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনে করেন বইয়ের মধ্যেই তিনি তাঁর ভাবনার প্রকাশ ঘটান, বাস্তবের সমালোচনা করেন। এতেই যেন আনন্দ খুঁজে নেন তিনি।





