ফোন পেয়েই দেখা করেছিলেন দুই বন্ধু। দিনটি ছিল ২৫ জুলাই, শুক্রবার। সময় দুপুর আড়াইটা। স্থান – দাসপুর থানার নাড়াজোলের আমডাংরা মাঠ। নগদ চার লক্ষ টাকা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন দুই বন্ধু – সুদীপ পাল ও শুভেন্দু দন্ডপাট, যাঁদের বাড়ি চন্দ্রকোনা থানার খামারগেড়িয়া গ্রামে। সেই সময় আচমকা তিনটি বাইকে করে ছ’জন দুষ্কৃতী এসে তাঁদের উপর হামলা চালায়, মারধর করে ছিনিয়ে নেয় নগদ টাকা। উল্লেখ্য, এই অর্থটি সুদীপেরই ছিল। সুদীপ জানান, কয়েক দিন আগেই এক অচেনা ব্যক্তি ফোনে এই লোভনীয় অফার দেন।
advertisement
প্রথমে কথাবার্তার পর দেখা করেন, এবং পরে টাকা নিয়ে সরাসরি দেখা করতে যান। আর সেখানেই ঘটে ছিনতাই। তবে ঘটনাটি এখানেই শেষ হয়নি। ঘটনার পরপরই সুদীপ দাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই চমকে দেওয়ার মতো তৎপরতা দেখায় দাসপুর থানার পুলিশ। থানার ওসি অঞ্জনি তেওয়ারির নেতৃত্বে, সেকেন্ড অফিসার তরুণ হাজরা ও অন্যান্য অফিসাররা এলাকায় লাগাতার তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। ফলস্বরূপ, শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার হয় ছ’জন অভিযুক্ত। উদ্ধার হয় ছিনতাই হওয়া টাকার মধ্যে তিন লক্ষ ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা এবং তিনটি বাইক।
ধৃতদের শনিবার আদালতে তোলা হয়। দাসপুর থানার এই দ্রুত পদক্ষেপ ও সফল উদ্ধার অভিযানে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রতিরোধ, প্রজ্ঞা আর পুলিশের প্রখর নজরদারিতেই রক্ষা পেল এক বড়সড় প্রতারণা ও ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা।
মিজানুর রহমান





