একটি নয়, কাশীপুর এলাকার একাধিক স্কুলে আজও নিয়মিত পৌঁছে যান তিনি। কখনও বাংলা, কখনও অঙ্ক, কখনও আবার সাধারণ জ্ঞান শেখাতে। মদনবাবু জানান, “ছোটবেলা থেকেই ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়াতে আমার ভীষণ ভাল লাগত। এরপর মনে হল, যদি সত্যিই তাদের সাহায্য করতে চাই তাহলে একটি উপযুক্ত পরিবেশ দরকার। আর সেটি হল একমাত্র স্কুল।
advertisement
আরও পড়ুন : ছোটখাটো কারণে ছুটতে হবে না হাসপাতাল, শালবনিতে এবার দুয়ারেই স্বাস্থ্য পরিষেবা! পাওয়া যাবে ওষুধও
সেই ভাবনা থেকেই বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেন এবং স্কুলের ফাঁকা সময়ে পড়ানোর অনুমতিও দেন। তাদেরই সমর্থনে আজ আমি নানা স্কুলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে পারছি।” ছোট বেলায় পড়াশোনা করতে করতেই সংসারের হাল ধরতে তাঁকে ব্যবসা ও টিউশন, দুটোই করতে হয়েছে। সেই সময়ই বাচ্চাদের প্রতি তার অগাধ ভালবাসা গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে সেই টিউশনের ঘর বদলে গেল স্কুলের ক্লাসরুমে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উদ্দেশ্য একটাই, জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া, শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়তে সাহায্য করা। মদনবাবুর এই অনন্য প্রচেষ্টায় প্রতিনিয়ত পাশে থেকেছেন তাঁর স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ছবি চক্রবর্তী। প্রতিদিন সঠিক সময়ে স্কুলে পাঠানো থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার সমস্ত দিকেই তিনি সমর্থন এবং সহায়তা করে চলেছেন।টিউশন ঘর থেকে স্কুলের ক্লাসরুমে যাত্রা, স্বপ্ন থেকে বাস্তবায়ন, মদনবাবুর এই গল্প শুধু অনুপ্রেরণামূলকই নয়, বরং শিক্ষা এবং নিঃস্বার্থ ভালবাসার জীবন্ত উদাহরণ।





