আরও পড়ুন: রাত পোহালেই সুখবর, কাল থেকে কোন কোন জিনিসের দাম কতটা কমবে? দেখে নিন তালিকা
সাইকেল হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব একটি বাহন। শরীর রাখে ফিট, তাই এই সাইকেল মধ্যবিত্তদের পছন্দের জিনিস। এই সাইকেলে করে কেউ কেউ আবার বিদেশ ভ্রমণও করে চলে এসেছেন। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ সম্প্রতি দেখা গেছে বাংলার কয়েকটি জেলায়। এবার এই সাইকেলে দেশের বিভিন্ন কোণে কোণে বার্তা ছড়িয়ে দিতে আসানসোল থেকে রওনা দিলেন চার জন ছেলে ও চারজন মেয়ে।
advertisement
ন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন এর ডাইরেক্টর মিহির কুমার মন্ডল বলেন “সাইকেল ব্যবহার করলে ফিজিক্যালি ফিট হওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে দূষণ থেকে রক্ষা করা যায় সমাজকে দেশকে। আমরা চাই মানুষ যেন আবার আগের মতো সাইকেল ব্যবহার করে দুই কিলোমিটার হোক বা পাঁচ কিলোমিটার যাওয়ার জন্য। তাহলে মানুষ ফিট থাকবে”।
ন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন এর ওয়েস্ট বেঙ্গল পশ্চিম চ্যাপ্টারের পক্ষ থেকে একটি সাইকেল এক্সপেডিশন এর আয়োজন করা হয়। আসানসোল পোলো গ্রাউন্ড থেকে চারজন ছেলে ও চারজন মেয়ে মোট আটজন স্কুল ও কলেজের পড়ুয়ারা গালওয়ান ঘাঁটি চিনা বর্ডারের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। বরাকর হয়ে ঝাড়খন্ড বিহার, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি পাঞ্জাব হয়ে হিমাচল প্রদেশের মানালি লাদাখ পার করে গালওয়ান চীনের বর্ডারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা। এদিন তাঁদের সবুজ পতাকা দেখিয়ে যাত্রার সূচনা করা হয়। ২৭০০ কিলোমিটার পথ পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ৩০ দিন, তবে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে সেই সময়টা কমে যেতে পারে। তাঁদের সব সময় সুরক্ষা দিতে সঙ্গে থাকছে একটি বিশেষ টিম।
তারা এই সাইকেলের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন যাতে সমাজের যুবকরা ভালো কাজে এগিয়ে আসে। সবাই এখন মোবাইলে ব্যস্ত তাই মোবাইল ছেড়ে ফিটনেস এর জন্য সাইকেল চালানো অতি অবশ্যই দরকার এবং দূষণ রোধে সাইকেলের ব্যবহার অনস্বীকার্য এই বার্তা পৌঁছে দিতেই তাঁরা রওনা দিলেন।