এই পোড়ামাটির সামগ্রী কিন্তু কোনও সাদামাটা প্রদীপ বা ফুলদানি নয়। এগুলি দক্ষ শিল্পীদের নিপুণ কৌশলে গড়ে তোলা কারুকার্যে ভরা ঐতিহ্যবাহী বাংলার মৃৎশিল্প। দীপাবলি ও শীতের মুখে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দত্তপুকুর এলাকা থেকে মাটির সামগ্রীর সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছেন প্রখ্যাত মৃৎশিল্পীরা। তাঁরা দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটিসেন্টারে রাস্তার পাশে তাঁবু খাটিয়ে পোড়ামাটির জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
advertisement
এই মৃৎশিল্পীদের কাছে বাগান ও গৃহসজ্জার আকর্ষণীয় নানা সামগ্রীর সম্ভার রয়েছে। দুর্গাপুর শহরের শৌখিন এবং রুচিশীল বহু মানুষ এমন জিনিস কিনতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমাচ্ছেন। মাত্র ৫ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে মিলছে বহু পোড়ামাটির সম্ভার। মৃৎশিল্পীরা কেবল এখানে পসরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন না। ওই সমস্ত সামগ্রী বিশাল ঝুড়িতে করে নিয়ে মাথায় চাপিয়ে শহরের অলিগলিতে বাড়ি-বাড়ি গিয়েও বিক্রি করছেন।
প্রসঙ্গত, টেরাকোটা শিল্পীদের গ্রাম হল বাঁকুড়া জেলার পাঁচমুড়া। খাতড়ার তালড্যাংরা ব্লকের পাঁচমুড়া ‘টেরাকোটা’ গ্রাম নামে পরিচিত। মৃৎশিল্পীদের গ্রাম হিসেবে তালড্যাংরার পাঁচমুড়া গ্রামের নামডাক সর্বত্র ছড়িয়েছে। পরিচিত মাটির হাতি, ঘোড়া, মনসার চালি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা ও গৃহসজ্জার নানা সামগ্রী সহ মাটি দিয়ে এইসব কাজ করতে সিদ্ধহস্ত শিল্পীরা। পাঁচমুড়ার টেরাকোটা জিআই স্বীকৃতিও পেয়েছে। বিশ্বদরবারে পৌঁছেছে এখানকার ঘোড়ার নাম।
তবে উত্তর ২৪ পরগনায় বারাসাতের দত্তপুকুর এলাকার মৃৎশিল্পীরাও সারা বছর দেবদেবীর মূর্তি ও প্রতিমা সহ গৃহসজ্জার সামগ্রী বানিয়ে নজির গড়েছেন। বেশ কিছু মাটির ঘর, কারুকার্য করা কফি মগ, বিভিন্ন ধরনের ফুলদানি, অ্যাশট্রে, ধূপদানি, মোমদানি তৈরি করে তাক লাগিয়েছেন সেখানকার শিল্পীরা। যার চাহিদা শিল্প শহরে ব্যাপক রয়েছে বলে দাবি শিল্পীদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পাশাপাশি দুর্গাপুরের ক্রেতাদের দাবি, ভিনজেলা থেকে আসা ওই মৃৎশিল্পীরা সরাসরি তাঁদের সামগ্রীগুলি নিয়ে বিক্রি করছেন। সেই কারণে সামগ্রীর মূল্য অনেকটাই স্বাভাবিক। ঘরের দুয়ারেও অতিসহজে মিলছে ওই সমস্ত সামগ্রী।