আরও পড়ুনঃ ওজন বেড়ে সাইজ XS থেকে XL? ‘এই’ ম্যাজিক পনীয় গলাবে কেজি কেজি মেদ! চোখের নিমষে ছিপছিপে রোগা
তবে, তাঁর ভাল লেগেছিল টেলি কমিউনিকেশন। মোট চার বছরের কোর্স ছিল। সেকেন্ড ইয়ার শেষ হওয়ার পর থেকেই সরকারি চাকরি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে শুরু করে দেবার্ঘ্য। একদিন একটা অ্যাপ থেকে সে জানতে পারে এই পরীক্ষা সম্পর্কে। আর তারপর থেকেই শুরু হয় তাঁর প্রস্তুতি। কলেজের পাশাপাশি একটা অন্য প্রতিষ্ঠানে এই পরীক্ষার জন্য সে প্রস্তুতি নিতে থাকে। কিন্তু পরে করোনার জন্য সব বন্ধ হয়ে গেলেও, আবার ২০২১ সাল নাগাদ অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস শুরু হয়। চলতে থাকে প্রস্তুতি। প্রথম পরীক্ষায় বসতে হয় ২০২১ সালে। কিন্তু সেবার প্রিলিমস পরীক্ষায় সে পাশ করতে পারেনি। ২০২২ সালের পরীক্ষাতেও প্রিলিমস অসফল হয়। তবে ২০২৩ সালে প্রিলিমস, মেনস পাশ করে ইন্টারভিউ অবধি পৌঁছালেও ফাইনাল রেজাল্টে নাম আসেনি।
advertisement
দেবার্ঘ্যজানিয়েছে, “একাধিকবার প্রচেষ্টার পর এই সাফল্য এসেছে। আমি হাল ছাড়িনি। ইন্ডিয়ান টেলিকম সার্ভিস আমার লক্ষ্য ছিল।। এবারের ফলাফল অনুযায়ী আমি ইন্ডিয়ান টেলিকম সার্ভিস পাচ্ছি। ইন্ডিয়ান টেলিকম সার্ভিস, ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার টেলিকম হিসেবে যোগদান করব। পোস্টিং হবে নিউ দিল্লি। আমার মা আমাকে ছোট থেকেই খুব সাহায্য করেছে।” দেবার্ঘ্য এই প্রসঙ্গে আরও জানিয়েছে, “বন্ধুরা চাকরি করছে আর আমি বেকার বসে আছি। সেইসময় খারাপ লাগত। তবে, কিছু বন্ধু অনেক সাহায্য করেছে। আর আমার এই সাফল্যে আমি খুব খুশি হয়েছি। সকলের উদ্যেশ্যে বলব, হাল ছাড়লে চলবে না। লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে।” বন্ধুরা যেসময় চাকরি করতে ব্যস্ত, তখন বাড়িতে বসে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিত দেবার্ঘ্য। অদম্য জেদ আর ইচ্ছাশক্তির জেরে আজ সে এই সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আর লাগবে না দুধ-চিনি, সস্তার মশলার ‘স্পেশ্যাল চা’-খেলেই হবে কামাল! সর্দি-কাশি পালাবে বাপ বাপ বলে…
পূর্ব বর্ধমান জেলার ছেলের এহেন সাফল্যে বর্তমানে খুশির হাওয়া জেলাজুড়ে। ছেলের এই সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা মা, বাবা, ভাই সকলেই। দিল্লিতে পড়াশোনা না করে, বর্ধমানে থেকেই পড়াশোনা করে সাফল্য অর্জন করে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করল দেবার্ঘ্য। বর্ধমান শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে পাড়ি দেবে দিল্লি।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





