বর্তমানে চাল, নুড়ি পাথর, ট্যাবলেট ওষুধ-সহ বিভিন্ন ছোট ছোট জায়গায় ছবি এঁকে চলছেন তিনি। ওষুধের পিলে পুলওয়ামার হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে অপারেশন সিন্দুর-সহ দিল্লির লালকেল্লা ভারতের প্রধানমন্ত্রী, স্বামী বিবেকানন্দ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামকৃষ্ণ থেকে মা সারদা বিভিন্ন মনীষীদের প্রতিকৃতি ফুটে উঠেছে চাল, নুড়ি ও পাথরে। বর্তমানে এই মাইক্রো আর্টিস্ট হিসাবে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। তাঁর কথায়, “ছোট বয়স থেকেই ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ ছিল। কিন্তু সেভাবে কোথাও ছবি আঁকা শেখা হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিকের পর আর্থিক কারণে পড়াশোনা আর এগোয়নি। তখন আবার নতুন করে ছবি আঁকার প্রতি আকৃষ্ট হই। বর্তমানে এই ছবি আঁকা আমাকে পরিচিতি দিয়েছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ২০ টাকার জন্য ৫ দিনের লড়াই! ঝাঁটা তৈরিতে শবরপাড়ার মহিলাদের কঠোর পরিশ্রম, তবুও তাঁরা স্বনির্ভর
মাইক্রো আর্টিস্ট, মূলত এই ধরনের শিল্পীরা বড় ক্যানভাস নয় তাদের শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলে ছোট ছোট নুড়ি পাথর, চাল, ধান, চক ও চিকিৎসার জন্য খাওয়া ট্যাবলেট ওষুধে। সেরকমই একজন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের পঞ্চানন ভূঁইয়া। বয়স মাত্র ২২ বছর। করোনা কালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে। টাকা পয়সার অভাবে আর কলেজে ভর্তি হওয়া হয় না। প্রথমে বাবার সঙ্গে মাটির প্রতিমা গড়ার কাজে হাত দেয়। কিন্তু তাতে মন সায় দিচ্ছিল না। মন পড়েছিল ছবি আঁকায়। ফলে ছোটবেলায় নিজের ছবি আঁকার ঝোঁককে নতুন করে আঁকড়ে ধরে। তবে তিনি ক্যানভাসে ছবি আঁকা থেকে সরে এসে শুরু করেন চাল বোতলের ছিপি নানা ধরনের ছোট ছোট জিনিসপত্রে ছবি আঁকা। আর তাতেই তিনি সফল হয়েছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দিল্লির লালকেল্লা সামনে বিস্ফোরণের পরে ওষুধের পেলে এঁকে ফলেছেন লালকেল্লার প্রতিকৃতি। পঞ্চানন ভূঁইয়া ছবি আঁকার পাশাপাশি এই শিল্প স্বত্বা দিয়েই তিনি রোজকারের পথ খুঁজে পেয়েছেন। কথায় আছে শিল্প প্রতিভা কখনও চাপা পড়ে থাকে না, এক সময় প্রায় তা প্রকাশ পায়। মাইক্রো আর্টিস্ট হিসাবে সফল হওয়া পঞ্চানন ভূঁইয়া কাছে যেন সেই কথাটাই সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে।





