২০ টাকার জন্য ৫ দিনের লড়াই! ঝাঁটা তৈরিতে শবরপাড়ার মহিলাদের কঠোর পরিশ্রম, তবুও তাঁরা স্বনির্ভর

Last Updated:

আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা বলরামপুরের হাড়জোড়া। ‌ এখানে বেশিরভাগ মানুষ দিন আনে দিন খায়। সেখান থেকে মেরেকেটে পাঁচ কিলোমিটার গেলেই মিলবে হাড়জোড়া গ্ৰাম এখানেই রয়েছে শবর পাড়া। এই গ্রাম যেন অনেকটাই পিছিয়ে।

+
ঝাঁটা

ঝাঁটা তৈরি করেই চলছে সংসার

বলরামপুর, পুরুলিয়া, শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি: আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা বলরামপুরের হাড়জোড়া। ‌ এখানে বেশিরভাগ মানুষ দিন আনে দিন খায়। মূলত শবর সম্প্রদায়ের মানুষজনের বসবাস এই গ্রামে। পুরুলিয়া শহর থেকে বলরামপুর যাওয়ার পথেই পড়ে উরমা হাটতলা। সেখান থেকে মেরেকেটে পাঁচ কিলোমিটার গেলেই মিলবে হাড়জোড়া গ্ৰাম এখানেই রয়েছে শবর পাড়া। এই গ্রাম যেন অনেকটাই পিছিয়ে।
বর্তমানে গ্রামের মহিলারা স্বনির্ভর হওয়ার পথ পেয়েছেন হস্তশিল্পের মধ্যে দিয়ে। খেজুর গাছ ও বাঁশ গাছের পাতা দিয়ে তারা তৈরি করছেন ঝাড়ু। এই ঝাড়ুর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।  সাংসারিক কাজ সামলে তারা প্রতিদিনই এই ঝাড়ু তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন। ঝাড়ু তৈরির মধ্যে দিয়েই লক্ষ্মী লাভ হয় তাদের। ‌
advertisement
advertisement
এ বিষয়ে হাড়জোড়া গ্রামের শবর পাড়ার মহিলারা বলেন, গাছ থেকে তারা খেজুর পাতা ও বাঁশ পাতা সংগ্রহ করেন। তারপর সেগুলিকে শুকিয়ে কেটে ঝাঁটা তৈরি করেন। এক একটি ঝাঁটা তৈরি করতে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় দিন সময় লাগে। তারপর সেগুলিকে গ্রামে ঘুরে ঘুরে তারা বিক্রি করেন। হাটে বাজারে গিয়ে বিক্রি করার সাধ্য এখনও সকলের হয়ে ওঠেনি। ২০ টাকা পিস হিসাবে তাদের ঝাঁটা বিক্রি হয়। তা দিয়েই সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করছেন তারা।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বলরামপুরে হাড় জোড়া গ্রামের শবর পাড়ার প্রায় ৩২-টি পরিবারের বসবাস। প্রতিনিয়ত জীবন সংগ্রামের সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন তারা। তবুও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের হাত ধরে তাদের পরিস্থিতির খানিকটা বদল ঘটেছে। তারাও প্রতিনিয়ত রুটি রুজির বিকল্প পথ খুঁজছেন। তার মধ্যে এই ঝাঁটা তৈরি যেন তাদের কাছে আসার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
২০ টাকার জন্য ৫ দিনের লড়াই! ঝাঁটা তৈরিতে শবরপাড়ার মহিলাদের কঠোর পরিশ্রম, তবুও তাঁরা স্বনির্ভর
Next Article
advertisement
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
  • দুর্গাপুর স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা ভেন্ডিং মেশিনে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় পাওয়া যাবে

  • UPI-দিয়ে সহজেই পেমেন্ট করা যাবে

  • দুর্গাপুর স্টেশন স্মার্ট, পরিষ্কার এবং যাত্রী-সহযোগী স্টেশন হয়ে উঠছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement