এগরা এক নম্বর ব্লকের মহাবিশ্রা গ্রামের চাষি দীপক মাইতি এই প্রকল্পের সফল উদাহরণ। তিনি আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে বাদশাভোগ ধানের চাষ শুরু করেছিলেন। এবছর তার ভালই ফলন হয়েছে। দীপকবাবুর মতো আরও অনেক কৃষক এই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কৃষি দফতরের মতে, এই ধান কম জমিতেও চাষ করা সম্ভব এবং তুলনামূলকভাবে রোগপোকা প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। ফলনও বেশ ভাল হয়। যার ফলে কৃষকরা বাজারে ভাল দামে বিক্রি করতে পারছেন।
advertisement
এই উদ্যোগকে আরও সম্প্রসারিত করতে এগরা এক নম্বর ব্লক কৃষি দফতরের উদ্যোগে কৃষক প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। মহাবিশ্রা বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণ শিবিরে কৃষি বিশেষজ্ঞরা বাদশাভোগ ধানের চাষপদ্ধতি, ফসল তোলার সঠিক সময়, সংরক্ষণ পদ্ধতি এবং বিপণন কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আরও পড়ুনঃ নিখোঁজের দু’দিন পর পরিত্যক্ত পুকুর থেকে উদ্ধার দেহ, মালদহে যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য
উপস্থিত কৃষকদের জানানো হয়, কীভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ান যায় এবং একই সঙ্গে মাটির উর্বরতাও বজায় রাখা যায়। কৃষি দফতরের আধিকারিকদের মতে, বাদশাভোগ ধান চাষে কৃষকেরা এখন অনেকটাই আত্মনির্ভর হয়ে উঠছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই মরশুমে এটি ছিল শেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। যারা বাদশাভোগ ধানের চাষ করেছেন, তাদের ফসল কাটার আগে শেষ মুহূর্তের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক শেখাতেই এই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়াও অন্যান্য কৃষকদেরও বাদশাভোগ ধানের লাভজনক দিক সম্পর্কে অবগত করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক চাষি এই ধান চাষে অংশগ্রহণ করেন। ধীরে ধীরে পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে এই ধানের সুগন্ধ। লাভবান হচ্ছেন কৃষকরাও।





