হাতেকলমে ৩০ দিনের এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে। লুপ্তপ্রায় গালা শিল্পকর্ম বাঁচিয়ে রাখতেই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ইলামবাজার ব্লক প্রশাসন। বিডিও অনির্বাণ মজুমদার বলেন, “প্রাচীন গালা শিল্পকে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইলামবাজারে গালা শিল্পের ইতিহাস রয়েছে। সেই ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখতেই প্রাথমিকভাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে লাক্ষা পোকা বাস করে এমন গাছ ভিন জেলা থেকে এনে রোপণ করা হবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের পর গালা শিল্পকে নতুন করে প্রসার ঘটাতে বাজারজাত করতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: গবাদি পশু পালনে নয়া নিয়ম! না মানলে পড়তে হবে বড় সমস্যায়, জানিয়ে দিল পুলিশ
উল্লেখ্য, এক সময় গালা শিল্পের পীঠস্থান ছিল জেলার ইলামবাজারে। ব্রিটিশ আমল থেকে রমরমা বাণিজ্য আজ অতীত। গালার গুণগত উৎকৃষ্টতার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। মোঘল আমল থেকে এখানে গালা শিল্পের রমরমা ছিল পরবর্তীকালে নুড়ি পদবীর মানুষজন গালার কাজ শুরু করেন। এই নুড়ি পদবী বা সম্প্রদায়ের মানুষ পরবর্তীতে ‘গুঁই’ পদবী হয়েছিলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাপান থেকে গালার তৈরি বাসনপত্র উপহার পেয়ে শিল্পকর্ম দেখে উদ্বুদ্ধ হন। এরপরেই গালা শিল্পের প্রশিক্ষণ দেন ইলামবাজার থেকে দু’জন গালা গোপাল গুঁই ও নেপাল গুঁই। তবে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বভারতীর শিল্পসদনে গালা শিল্পের প্রশিক্ষণ হত। পরে তা নানা কারণেই অচিরেই বন্ধ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয় গালা শিল্প। তবে পুনরায় গালা শিল্পের প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ায় আশার আলো দেখছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
সৌভিক রায়





