কম খরচ, কম যত্ন আর বাজারে বেশি চাহিদা, এই তিন মিলেই এখন গ্রামজুড়ে গাঁদা ফুল চাষের ঢেউ উঠেছে। ফুল চাষি পিন্টু সেন ছোট থেকেই চাষের সঙ্গে যুক্ত। কয়েক বছর আগে আর পাঁচজনের মতই ধান আর সবজি চাষ করতেন। কিন্তু লাভ কম হওয়ায় তিনি ভাবতে শুরু করেন বিকল্প কিছু করার। সেই চিন্তাতেই শুরু হয় গাঁদা ফুল চাষের পরীক্ষামূলক পথচলা।
advertisement
আরও পড়ুন : এসেই তুলে আছাড়, হাতির হানায় ফের প্রাণ গেল মহিলার! লাগাতার বাড়ছে আক্রমণ, আলিপুরদুয়ারে লাগামছাড়া আতঙ্ক
পিন্টু সেন জানিয়েছেন, গাঁদা ফুল চাষে খরচ কম। সার, বীজ, শ্রম মিলিয়ে হিসেব করলে অন্যান্য ফসলের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। আর চাহিদা? বছরভর। বিয়ে, পুজো, অনুষ্ঠান, বাজার – সবেতেই গাঁদার ব্যবহার। তাই প্রতিদিনই ফুল তোলা মানেই টাকা রোজগার। মাত্র দেড়–দুই বিঘা জমিতে শুরু করেছিলেন। আর সেখান থেকেই আজ তিনি তৈরি করেছেন নিজের সাফল্যের ইতিহাস।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পিন্টু সেনের গাঁদা ফুল এখন শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, যায় মেদিনীপুর, খড়্গপুর, এমনকি কলকাতার পাইকারি বাজারেও। ফুলের দামের ওপর নির্ভর করে কখনও আয় আরও বাড়ে। তিনি বলছেন, খরচ একটু কম তাই ভালই চলে যায়।” এখন তাঁর লক্ষ্য আরও জমি নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে ফুল চাষ বিস্তৃত করা। শুধু নিজের জন্য নয়, গোবরু গ্রামের আরও বহু তরুণকে সঙ্গে নিয়ে করতে চান এই কাজ। যাতে গ্রামের মানুষ নিজের জমিকে নতুনভাবে কাজে লাগিয়ে আয় বাড়াতে পারেন। গোবরুর মাটিতে গাঁদা ফুল চাষ আজ সত্যিই হয়ে উঠেছে গ্রামের মানুষের আয়ের নতুন দিশা।





