তবুও কেন এই রথের নাম ছোট রথ? প্রশ্ন উঠতেই পারে। এই প্রশ্নের দুটি উত্তর রয়েছে। শ্রী শ্রী শ্যামসুন্দর রথ কমিটির কোষাধক্ষ্য জানান, ১৪৬৩ বঙ্গাব্দের ২৫ আষাঢ় রথটি তৈরি হয়েছিল। এর আগে যে রথটি ব্যবহার করা হত, সেটি বর্তমানে বাঁকুড়ার মেজিয়াতে রয়েছে। বাঁকুড়া শহরের ব্যাপারিহাটে রয়েছে আরও একটি রথ যার উচ্চতা পোদ্দার পাড়ার ৩০ ফুটের ছোট রথের চেয়ে অনেকটাই কম, তবুও সেটির নাম বড় রথ। কারণ ব্যাপারিহাটের রথ প্রায় ১১৪ বছরের পুরনো। অর্থাৎ বয়সে ছোট বলেই পিতলের ৩০ ফুট উচ্চতার পোদ্দার পাড়ার রথকে বলা হয় ‘ছোট রথ’।
advertisement
বাঁকুড়া শহরে রথযাত্রা ঘিরে ইতিমধ্যেই উন্মাদনা তুঙ্গে। রথযাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে সুবিশাল পিতলের রথটি। এই রথ টানা দেখতে জমা হবেন হাজার হাজার দর্শনার্থী। বাঁকুড়া পোদ্দার পাড়ার ছোট রথের আরও একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য আছে। এর রয়েছে স্টিয়ারিং, রয়েছে ব্রেক। তার সঙ্গে সুবিশাল উচ্চতা, যার কারণেই এই রথের চূড়া মানুষের ভিড় ঠেলে দেখা যায় বহু দূর থেকে।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়