তবে এই বয়সে এসেও তার কৃতিত্ব অবাক করবে সকলকে। তেমন কোনও পেশাগত গুরুও ছিল না তার। তবু তার বাঁশির সুর অবাক করে তোলে সকলকে।তবুও এখনও শিক্ষা ও সংস্কৃতির মধ্যেই থাকেন তিনি। প্রায় ৯৫ বছরের এই বৃদ্ধের ভাবনাচিন্তা এবং প্রতিদিনের রুটিন অবাক করবে। ইংরেজ আমলে যখন পড়াশোনার চল তেমন ছিল না, তখনও কষ্ট করে তিনি পড়াশোনা করেছেন। করেছেন শিক্ষকতা। তৈরি করেছেন বহু ছাত্র-ছাত্রী।ছন্দের মধ্য দিয়ে পড়াশোনা সম্ভব এবং তা ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি সহযোগী।একদিকে যেমন মনে থাকে তেমনই পাঠ গ্রহণ করা সম্ভব হয়। তাই তিনি লিখেছেন ছন্দ মিলিয়ে চার চারটি বই।
advertisement
যাদের মধ্যে রয়েছে ইংরেজি গ্রামার, ওয়ার্ড বুক, বাংলা বর্ণমালা এবং কবিতার বই। বয়স প্রায় ৯৫ বছর। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার আসন্দা এলাকার বাসিন্দা কৃত্তিবাস মন্ডল। জন্ম স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে। ছোট থেকে অভাবের সঙ্গে বড় হয়ে ওঠা তার। বাড়ির দোকান সামলানোর পাশাপাশি বিভিন্ন কাজ করতে হয়েছে সেই সময়। এরপরও তিনি চালিয়ে রেখেছিলেন তার পড়াশোনা।
বিভিন্ন যাত্রা অনুষ্ঠান বা সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখে দেখেই তিনি শিখেছেন আড় বাঁশি বাজান।অসাধারণ বাঁশি বাজাতে পারেন, তবে কোনও কালেই তালিম নেননি। এখনও বাঁশের বাঁশিতে সুর তোলেন বিভিন্ন গানের। কৃত্তিবাস বাবুর এহেন ভাবনা চিন্তা এনে দিয়েছে নানা সম্মান।





