উৎসবের শুরুতে ঋত্বিক ঘটকের জীবন, সৃষ্টিশীলতা ও আধুনিক ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর প্রভাবকে কেন্দ্র করে আলোচনা সভা হয়। সেই আলোচনায় অংশ নেন মানস ঘোষ, সুদিন চট্টোপাধ্যায়, প্রভাস দত্ত, নাট্যকার প্রবীর গুহ, দীপিতা সেনগুপ্ত সহ বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দেরা। তাঁরা সকলেই উল্লেখ করেন, ঋত্বিক ঘটকের মানবিক চলচ্চিত্রভাষা ও সমাজবাস্তবতা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
advertisement
অনুষ্ঠানে শিল্পী পার্থ ঘোষ তুলে ধরেন এক অনন্য শিল্প প্রয়াস। তাঁর ক্যানভাসে আলো-ছায়ার মেলবন্ধনে ফুটে ওঠে ঋত্বিক ঘটকের প্রতিকৃতি, যা দর্শকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। পাশাপাশি সংগীতশিল্পীদের পরিবেশনায় গানের মাধ্যমেও এই কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকারকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর শুরু হয় স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। ‘বীজাঙ্কুর’, ‘১৪ দিন শেষ’, ‘এ রাইড ইন দ্য ট্রেন’ সহ বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র এদিন দেখানো হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতিটি প্রদর্শনীতেই দর্শকদের উৎসাহী অংশগ্রহণ নজর কাড়ে। এই চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা অমিত পাল বলেন, এলাকার মানুষকে স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র দেখিয়ে বিশেষ বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঋত্বিক ঘটকের উপর বিশেষ এই প্রদর্শনী ৭ দিন ধরে চলবে। শিল্প সুষমার এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ঘিরে তৈরি হওয়া উন্মাদনা ঋত্বিক ঘটকের প্রতি মানুষের গভীর শ্রদ্ধাবোধ যেন আরও একবার স্পষ্ট করে তুলল।





