পুরাণে কথিত, একান্ন সতীপীঠের একপীঠ তমলুকের দেবী বর্গভীমা। কথিত আছে বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রে খণ্ডিত দেবী সতীর বাঁ পায়ের গোড়ালি এখানে পড়েছিল। দেবী সতীর দেহাংশ অখণ্ড ভারত ভূমির যেসব জায়গায় পড়েছিল, সেখানে গড়ে উঠেছে সতীপীঠ। দেবী বর্গভীমার এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা।
দেবী বর্গভীমা মায়ের ভোগে দৈনন্দিন শোল মাছ আবশ্যিক। আজও তমলুকে কোনও কালীপুজো শুরু হয় না দেবী বর্গভীমার পুজো না দিয়ে। আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পূজিত হন দেবী। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের আজও মধ্যমণি মা বর্গভীমা। কয়েক হাজার বছর ধরে শক্তি স্বরূপিণী আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে দেবী বর্গভীমার আরাধনা চলে আসছে। ওড়িশি স্থাপত্যের আদলে এই দেউলের উচ্চতা প্রায় ৬০ ফুট। মন্দিরের দেওয়ালে টেরাকোটার অজস্র কাজ। তার মধ্যেই মন্দিরের গর্ভগৃহে কালো পাথরে তৈরি মায়ের মূর্তি বিরাজ করছে দেবী উগ্রতারা রূপে।
advertisement
Saikat Shee