আরও পড়ুনঃ নায়িকা এখনও ‘একা’! ডিভোর্স হতে না হতেই ছাদনাতলায় শ্রাবন্তীর প্রাক্তন! পাত্রীটি কে জানেন?
এই প্রসঙ্গেই গ্রামের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতনামা তাঁত শিল্পী সুশান্ত দে-এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমিও তাঁত বুনে অনেক কিছু করেছি। আজকে আমি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছি। আমি এখনও তাঁতের উপরেই নির্ভরশীল। তাঁতের এখনও যা পরিস্থিতি রয়েছে তাতে বাইরে কাজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভিন রাজ্য থেকে এসে তাঁরা যদি মনে করে তাঁত বুনবো, তাহলে তাঁদের আরামসে সংসার চলে যাবে। কোনও অসুবিধা হবেনা।
advertisement
সুশান্ত বাবু এখনও নিজের হাতে তাঁত বোনেন এবং তাঁর তৈরি কাপড় দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রফতানি হয়। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ঘোড়ানাশ গ্রামেই রয়েছেন বড় তাঁত ব্যবসায়ীরা, যাঁদের অধীনে শতাধিক তাঁতি নিয়মিত কাজ করেন এবং সংসার চালান।এক সময় এই কাজেই সংসার চলত সকলের। এখন নতুন প্রজন্ম আগ্রহ হারাচ্ছে শুধু এই ভেবে যে আর বাজার নেই। কিন্তু বাস্তবে যদি কাজের মান ঠিক থাকে তাহলে চাহিদার অভাব হবে না।
এখন প্রশ্ন উঠছে যেখানে নিজের গ্রামেই কাজের সুযোগ রয়েছে, সেখানে ভিন রাজ্যে গিয়ে হেনস্থার শিকার হওয়ার কী দরকার? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতির বদল দরকার মনোভাবের পরিবর্তন দিয়ে। তাঁতের মতো ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে যদি আধুনিক বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়, তাহলে হয়ত অনেক তরুণকেই ঘরে ফেরানো সম্ভব হবে। বাংলার হারিয়ে যেতে বসা তাঁতশিল্প আবারও উঠে দাঁড়াতে পারে, শুধু দরকার সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিকল্পনা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী