একদম নামমাত্র খরচে হাজার হাজার টাকার জিনিস তৈরি করা সম্ভব। সম্পূর্ণ ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে আকর্ষণীয় জিনিস তৈরি। প্রশিক্ষনের আগে পর্যন্ত এ বিষয়ে নূন্যতম ধারণা ছিল না অনেকেরই। গ্রাম বাংলার রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা নারকেল মালার তৈরি জিনিসের দেশে-বিদেশে চাহিদা প্রচুর।
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে সারাদেশ জুড়ে প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে বহু পুরুষ মহিলা স্বনির্ভর। এবার গত ১৬ ই ডিসেম্বর থেকে ২১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ। নারকেল সেল বা নারকেল মালা দিয়ে হাতের কাজ। মহিলারা এই প্রশিক্ষণ নিয়ে হতে পারবে স্বনির্ভর। গঙ্গাধরপুর গোলাবাড়ি ভারত সেবাশ্রমে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হল নারকোল উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে।
গ্রাম বাংলায় বিভিন্ন প্রান্তে নারকেল গাছ দেখা যায়। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে নারকেলের চাষ প্রচুর। সেই দিক থেকে বাংলার ঘরে ঘরে নারকেলের প্রয়োজনীয়তা ও জনপ্রিয়তা প্রচুর। নারকেল খেয়ে নারকেল সেল বা নারকেল মালা ফেলে দেওয়ার প্রবণতাই বেশি। যদিও আগেকার দিনের মা ঠাকুরমা ছোট পাত্র হিসেবে নারকেল মালার ব্যবহার করত।
তবে এখনকার দিনে সেভাবে ব্যবহার নেই। নারকেল মালা জ্বালানি হিসেবে বেশি ব্যবহার হয়। কিন্তু এই ফেলনা জিনিস অর্থাৎ নারকেল মালা দিয়ে হাজার হাজার টাকার ঘর সাজানো জিনিস যেমন শোপিস পেনদানি ফুলদানি বিভিন্ন বাহারিপাত্র টেবিলের ল্যাম্প ও মহিলাদের গয়না-সহ আরও কত কি তৈরি হচ্ছে। সমস্ত জিনিস তৈরীর প্রশিক্ষণ দেওয়া হল গোলাবাড়ি ভারত সেবাশ্রমে।
আর এই প্রশিক্ষণে আরও বেশি করে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ বাড়াতে প্রতিযোগিতার আয়োজন। ১৫ জন প্রশিক্ষনার্থীর মধ্যে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান। প্রশিক্ষক এবং উদ্যোক্তারা জানান, শেখার প্রতি প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ছিল দারুন। হাতের কাজ এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার দিক থেকে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানকে বেছে নেওয়া। এটা কোনও প্রতিযোগিত নয়। মূল লক্ষ্য হল সমস্ত প্রতিযোগীর উৎসাহ বাড়ানো।
প্রশিক্ষণের শুরুতেই হাতের কাজ তৈরীর বিভিন্ন টুলস অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। হাতের কাজ তৈরীর প্রধান উপকরণ ফেলে দেওয়া জিনিস অর্থাৎ নারকেল মালা। তার সঙ্গে কিছু আনুষঙ্গিক জিনিস হলেই খুব সহজ কৌশলে নারকেল মালাকে মেজে ঘষে এবং কাটিং করে সুদর্শন জিনিস তৈরি হতে পারে।
আর সেই জিনিস বেশ দামে বিক্রি হতে পারে। আর এমন কাজ শিখে প্রত্যেক মহিলা বেশ আনন্দিত। আরো বেশি করে আনন্দিত, তিনজন স্থান অধিকারী। তাঁরা মনে করছেন, তাদের নগদ অর্থ এই হাতের কাজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তারাও ভীষণ আগ্রহী এই কাজটিকে স্বনির্ভর হতে।
রাকেশ মাইতি।





