রাস পূর্ণিমার পাঁচ দিন পর থেকে এখানে রাস উৎসবের সূচনা হয়। অর্থাৎ সমস্ত জায়গায় যখন রাসের সমাপ্তি ঘটে তখন এই জায়গায় রাস উৎসবের সূচনা হয়। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বসে মেলা, যা পুরুলিয়া জেলার বৃহত্তম মেলা বলেই মনে করেন জেলাবাসী। প্রায় দেড় মাস ধরে এই মেলা চলে। থাকে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। এই মেলাকে ঘিরে এলাকার মানুষের মধ্যে আবেগ ও উৎসাহ তুঙ্গে থাকে। নানা দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। শুধু শহর নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি ভিনরাজ্য থেকেও বহু মানুষ এই মেলায় আসেন। এছাড়াও এই সময় যে সমস্ত পর্যটকেরা পুরুলিয়ায় বেড়াতে আসেন তাঁরাও এই মেলায় ঢুঁ মেরে যান।
advertisement
এই বিষয়ে রাস মেলা কমিটির সদস্য কল্যাণ ধীবর বলেন, এই রাস উৎসব ও মেলা ৭৯ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। তাঁদের পূর্বপুরুষেরা পুরুলিয়ার অন্যতম বিখ্যাত জয়পুরের রাস উৎসব ও মেলা দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ফিরে এসে তাঁরা এই রাস মেলা করার পরিকল্পনা নেন। কিন্তু রাস পূর্ণিমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণে স্থানীয় পুরোহিতদের পরামর্শে পূর্ণিমার পাঁচ দিন পর থেকে তাঁরা রাস উৎসব ও মেলার সূচনা করেন। বছরের পর বছর সেই রীতিকে বজায় রেখে এই রাস উৎসবের সূচনা হয়। বর্তমানে এই উৎসব জেলার অন্যতম আকর্ষণ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে রাস মেলায় আসা দর্শনার্থীরা বলেন, পুরুলিয়ার এই রাস উৎসব খুবই বিখ্যাত। সারা বছর তাঁরা এই উৎসবের অপেক্ষায় থাকেন। এই বছর নিত্যনতুন বহু আকর্ষণ রয়েছে এই মেলায়। এখানে এসে খুবই ভাললাগছে। ভক্তের সঙ্গে ভগবানের মিলন উৎসব রাস। এই উৎসবটি কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠে আপামর পুরুলিয়াবাসী। ৭৯ বছর ধরে নিজের ঐতিহ্য বয়ে চলেছে পুরুলিয়ার রাস উৎসব।





