পরবর্তীকালে এই পুকুরের নাম পরিবর্তন করে করা হয় জীবন সায়র। এই শূল ও পুষ্করিণী ঠিক কোন রাজার আমলে তৈরি হয়, তা জানা যায়নি। তবে ১৯৭০-এর দশকেও পুকুরের মাঝে শূলটি দেখা যেত বলে জানা যায়। পুকুরের মাঝে শূল থাকার জন্য এই পুকুর শূলিপুকুর নামে পরিচিত। রাজ আমলে প্রতিষ্ঠিত এই শূলিপুকুরের নাম দীর্ঘ কয়েক বছর পর ২০২১ সালে ৩০ জুলাই পরিবর্তন হয় বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের হাত ধরে।
advertisement
নবরূপে ওই পুকুরের সৌন্দর্য্যায়নের পর তৎকালীন বিডিএ-র চেয়ারম্যান রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এর নতুন নামকরণ করেন। শূলিপুকুরের নাম পরিবর্তন হয়ে নতুন নামকরণ করা হয় ‘জীবন সায়র’। নবরূপে সাজিয়ে তোলা হয় বর্ধমানের রাজ আমলের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত শূলিপুকুরকে। যদিও বর্তমানে পুকুর পাড়ের বেহাল দশা। পুকুরের চারিদিকে ভর্তি প্লাস্টিক ও আবর্জনা।
আরও পড়ুনঃ ভাঙনে দিশেহারা পড়ুয়াদের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছল ডিওয়াইএফআই! ভুতনিতে শুরু বিনামূল্যে পাঠশালা
বর্ধমানের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ সর্বজিৎ যশ জানান, কবে বা কোন রাজার আমলে এই শূলিপুকুর প্রতিষ্ঠিত হয় তা জানা যায়নি। এমনকি এই পুকুরে যে শূলে কাউকে চড়ানো হয়েছিল, এমন ইতিহাসও মেলে না। মানুষকে অপরাধের ভয়াবহতা বোঝাতে এবং অপরাধ থেকে দূরে রাখতেই এই শূল প্রতিষ্ঠা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মত তাঁর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাজ আমলে এই পুকুরের পাড়ে ছিল ঘোড়ার আস্তাবল। ঘোড়ারা এই পুকুরে জল খেত। জল অর্থাৎ জীবন তাই শূলি পুকুর নাম পরিবর্তন করে জীবন সায়র নাম দেওয়া হয়েছে বলে জানান সর্বজিৎ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে গিয়েছে রাজতন্ত্র, বদলেছে প্রেক্ষাপট। যে পুকুরের নামই একসময় মৃত্যুর বিভীষিকা বহন করত, পরবর্তীকালে তার নাম পরিবর্তন করা হয়। অতীতকে পিছনে ফেলে নতুন করে এর নামকরণ করা হয় ‘জীবন সায়র’। কিন্তু আজও এলাকাবাসীর কাছে এই পুকুর শূলিপুকুর নামে পরিচিত।





