বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ১৯৫৭ সালে ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের পক্ষ থেকে শিল্পী গনেশ হালুই প্রাচীন গুহাচিত্রের উপর ট্রেসিং পেপার বসিয়ে প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন। এই রকম মোট ৪৭টি প্রতিলিপি শিল্পী দান করেন বিশ্বভারতীর কলাভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ দিলীপ মিত্রকে। পরবর্তীতে তিনি সেগুলি দান করেছেন কলাভবনকে। যা এক ঐতিহাসিক দলিল৷ এই সমস্ত অজন্তার গুহাচিত্রের অসল ট্রেসিং প্রতিলিপি দেখতে ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন দেশে-বিদেশের পর্যটকেরা।
advertisement
ইউনেস্কো স্বীকৃত ঐতিহ্যশালী স্থান অজন্তা গুহা। অজন্তা-ইলোরার গুহার দেওয়াল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইতিহাসের বর্ণপরিচয়। অতীতে শিল্পীরা আদরে আর শ্রমে এবং তাদের নিজস্ব চিন্তাধারায় সেখানে এঁকে রেখেছেন শিল্পের সহজ পাঠ। মানুষ যখন কথা বলতে শেখেনি, তখন থেকে শিল্পচর্চা করতেন। তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল অজন্তা, আলতামিরা, এলিফ্যান্টার, ইলোরা, গুহাচিত্র।
অজন্তার গুহাচিত্রগুলি যদি কোনও দিন বিনষ্ট হয়, তার জন্য সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছিল ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক বিভাগ। তাদের আহ্বানে ১৯৫৭ সালে শিল্পী গনেশ হালুই অজন্তায় গিয়ে দিনের পর দিন পরে থেকে গবেষণা করেছিলেন। গুহাচিত্র গুলির উপর ট্রেসিং পেপার রেখে নিঁখুতভাবে সেগুলির প্রতিলিপি করেছিলেন৷
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এক একটি গুহাচিত্রের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যেমন, ঠিক তেমনই মাপের ট্রেসিং পেপারের উপর রেখা দিয়ে প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন শিল্পী। তিনি এই কাজ শেষ করতে পেরেছিলেন ১৯৬৩ সাল নাগাদ। তাই আপনি যদি এই সময় বোলপুর শান্তিনিকেতনে ভ্রমণের জন্য আসেন তাহেল অবশ্যই এই প্রদর্শনী ঘুরে যেতে পারেন।





