সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে এই রঙ তৈরি হয়। অন্যান্য রঙয়ে ভারী ধাতু থাকার ফলে যে ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি পড়ে তা এই রঙয়ে থাকে না। এছাড়া অন্যান্য রঙগুলি ঘরে করার পর তীব্র গন্ধের জন্য সঙ্গে সঙ্গে সেই ঘরে ঢোকা যায় না। এই রঙে সেই গন্ধও থাকে না।
আরও পড়ুনঃ নদীর বাঁধ ভেঙে বিপত্তি! তলিয়ে গেল বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল! বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকদের
advertisement
পরিবেশবান্ধব পণ্যের জন্য কাঁচামাল হিসাবে গোবরের ব্যবহার করা হয়। তার সঙ্গে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেশ কিছু মিনারেলস মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয় এই রঙ। প্রথম বেসের সাদা রঙ তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে চাহিদা মতো রঙ মিশিয়ে নেওয়া হয়।
খাদির এই প্রকল্পের রঙ প্রস্তুতকারী সংস্থার সদস্য ডাক্তার সৌমরাজ ব্যানার্জি বলেন, জয়পুর থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসার পর এখানে যখন এই প্রকল্পের কাজ শুরু করি তখন প্রথম দিকে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল রঙ তৈরি করে কোথায় বিক্রি করব? কারণ সাধারণ মানুষের মধ্যে এই পরিবেশবান্ধ রঙ সম্পর্কে ধারণা ছিল না। মানুষের মধ্যে এই সচেতনতা তৈরি করাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। পাশাপাশি এই রঙের কি গুণ এবং অন্য রঙ ব্যবহার করলে কি ক্ষতি হতে পারে সেটা বিক্রেতাদের বোঝানোর বিষয় ছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রথমে বিক্রি নিয়ে চ্যালেঞ্জ থাকলেও বর্তমানে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায় এই গোবরের রঙের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। গোবর থেকে তৈরি এই প্রাকৃতিক রঙ শুধু যে পরিবেশ বান্ধব তাই নয়, এটি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। বর্ধমানের এই উদ্যোগ এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও অনেককে পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরিতে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করা যায়।