আউশগ্রামে কাজু কেনার জন্য প্রতিবছর আসেন দিঘা ও কাঁথি এলাকার ব্যবসায়ীরা। তাঁরা এখান থেকে একমাসে প্রায় ৮ থেকে ১০ কুইন্টাল পর্যন্ত কাজু সংগ্রহ করে গাড়ি করে নিয়ে যান দিঘায়। সেখানেই আছে তাঁদের মেশিন, সেখানে কাজু প্রসেসিং হয় এবং বাজারে তারপর সেই কাজু চড়া দামে বিক্রি হয়। দিঘার বাসিন্দা খুকুমণি বিবি বলেন, “দিঘা থেকে আউশগ্রামে এসেছি কাজু বাদাম কেনার জন্য। একমাস থেকে কাজু বাদাম কিনে গাড়ি করে নিয়ে চলে যায়। এই কাজু ওখানে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করি।”
advertisement
আরও পড়ুন: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে বন্ধ হয়েছে রফতানি! সমস্যায় পূর্ব বর্ধমানের লিচু চাষিরা
আউশগ্রামে এই এতবড় একটা কাজুবাদামের জঙ্গল থাকা সত্ত্বেও যেন লক্ষ্মীলাভের সুযোগ হারাচ্ছে বহু মানুষ। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন যদি এই কাজু গাছকে কেন্দ্র করে একটা ছোট্ট কাজু প্রসেসিং ইউনিট তৈরি করা হয় তাহলে তাদের মধ্যে অনেকেই এখানে কাজের সুযোগ পাবেন। এই বিষয়ে আউশগ্রাম বিট অফিসার তাপস মাহাতো বলেন, “আমাদের এখানে আগে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজু সংগ্রহ হত। এখন আর সেটা হয় না। স্থানীয়রাই গাছ থেকে কুড়িয়ে বিক্রি করেন। তবে প্রসেসিং ইউনিট গড়ার বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তাঁরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
আরও পড়ুন: গাছে ঝুলে পেল্লাই সাইজের ‘ফোর কিলো’ আম! বর্ধমানের নার্সারিতে ভিড় করছেন বহু মানুষ!
আউশগ্রামের মাটি কাজুবাদাম চাষের জন্য আদর্শ। তবে এখনও এই বিষয়ে নেওয়া হয়নি কোনও সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ। আউশগ্রামের স্থানীয় মানুষের একটাই দাবি, এখানে একটি কাজুবাদাম হাব গড়ে উঠুক। এতে যেমন গ্রামীণ মহিলাদের আয়ও হবে সেরকম এলাকার অর্থনৈতিক পরিকাঠানারও উন্নতি হবে। আউশগ্রামের কাজুবাদাম এখন স্থানীয়রা সংগ্রহ করে বিক্রি করে দিচ্ছেন মহাজনদের কাছে। এতে স্থানীয়রা স্বল্প কিছু পয়সা পাচ্ছেন। তবে একটা মোটা অংকের টাকা লাভ করেন মহাজনরা। কিন্তু বর্তমানে বনদফতরের কোনও লাভ থাকছে না। আউশগ্রামের কাজু চলে যাচ্ছে অন্যত্র। কিন্তু যদি এখানেই তৈরি করা হয় কাজু প্রসেসিং ইউনিট তাহলে হয়ত উপকৃত হবেন এলাকার বহু মানুষ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





