এমনকি রয়েছে ছোটোবেলার প্রিয় তালপাতার হাতপাখা, আছে মাদুর, যা দেখলেই মনে পড়ে যায় গরমে দুপুরের ঘুম কিংবা উঠোনে বসে আড্ডা। এই সব উপকরণই শিল্পীদের নিপুণ হাতে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। দর্শকরা যেন মণ্ডপে ঢুকেই হারিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের শৈশবের অন্দরমহলে। আধুনিকতার চাকচিক্যে নয়, এবছর পুজোয় পরিবেশবান্ধব সামগ্রী দিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপ। কারণ, কমিটি চেয়েছে অতীতকে নতুন করে ছুঁতে।
advertisement
আরও পড়ুন : পঞ্চমীতে দেবীর আগমন! গ্রামবাসীদের কাঁধে চেপে ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেন উমা
তাই থিমে এসেছে খড়খড়ি জানালা, কালো আলকাতরার দরজা, কাপড়ের পর্দা, কাঠের তক্তা, বাঁশের ঝুড়ি, সবই যেন পুরনো দিনের অন্দরমহলের ছবি তুলে ধরেছে। বাঁশের ঝুড়ি দিয়ে তৈরি আলোর দৃশ্য বিশেষভাবে নজর কেড়েছে, যা দর্শনার্থীদের ছবি তুলতে ব্যস্ত করে তুলছে। পুজো কমিটির সদস্য রামকৃষ্ণ ব্যানার্জী বলেন, “এবারে আমাদের ৫০ বছর পূর্তি, তাই কাটোয়া বাসীকে নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা। এবারে বাজেট আমাদের প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা।” আদতে উদ্যোক্তারা ৯০ দশকের ছেলেবেলা ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন এই মণ্ডপের মাধ্যমে। যা দেখলে শৈশবের স্মৃতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, হারিয়ে যাওয়া শৈশব দেখে চোখে জল আসতে পারে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পুজোর উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ও মহকুমা শাসক। উদ্বোধনের দিনই দুঃস্থদের হাতে বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পুজোর চারদিন ধরে থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কাটোয়ার প্রতিভাবান শিল্পীদের নিপুণ কারুকার্যই মণ্ডপকে এনে দিয়েছে অনন্য মাত্রা। মাতৃ প্রতিমার মনোমুগ্ধকর রূপ, আলোকসজ্জার মায়া আর থিমের আবেগ, সব মিলিয়ে এবারের দুর্গোৎসব যেন কাটোয়ার মানুষের জন্য এক অন্য অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে।