সিউড়ি তথা বীরভূমের সর্ব প্রাচীন বলা চলে স্বাধীনতার সাক্ষী বইয়ের দোকান আজও চলছে রমরমিয়ে। নাম ‘শিক্ষা সংঘ’। সময়টা ১৯৪৩ সাল, ঠিক সেই সময় সিউড়ি জেলা আদালতের কাছে মসজিদ মোড় যাওয়ার রাস্তায় স্থাপিত হওয়া এই বইয়ের দোকান আজও চাহিদা পূরণ করে আসছে স্কুল থেকে শুরু করে কলেজের পাঠ্য পুস্তক ও শিক্ষা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপন্যাস সহ গল্পের বই বা ধর্মগ্রন্থের। স্বাভাবিক ভাবেই আজও জেলার পাঠকদের সিংহভাগের প্রথম পছন্দ এটিই। তাই প্রতিদিনই এখানে ছাত্রছাত্রী বা পাঠকদের ভিড় থাকে একদম চোখে পড়ার মত।
advertisement
আরও পড়ুন: মিড ডে মিলে ডিম দিতে হিমশিম! এই স্কুল আবার দিচ্ছে মাছ! কীভাবে আসছে জানলে অবাক হবেন
স্বাধীনতার আগে ১৯৪৩ সাল নাগাদ চাকরি ছেড়ে নিজে কিছু করার তাগিদে ময়ূরেশ্বর দুই নং ব্লকের চন্দ্রহাটের বাসিন্দা দ্বিজেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী পরিবার নিয়ে বীরভূমের সদর শহর সিউড়িতে এসে এই দোকানটি খোলেন। এরপর তার পরলোক গমণের পর এখন তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্ম চালাচ্ছেন এই বই এর দোকানটি। অন্যদিকে শান্তিনিকেতনের সুবর্ণরেখা ১৯২৫ সালে স্থাপিত হলেও সেখানে ধর্মগ্রন্থ বা পাঠ্যপুস্তক পাওয়া যায় না। শিক্ষা সংঘ খোলার বেশ কয়েকমাস আগে সিউড়ির প্রথম বইয়ের দোকান খোলা হয়েছিল জীবন লাইব্রেরী নামে। যদিও খোলার কয়েক বছর পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্বাভাবিকভাবেই এখন পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে যেকোন ধরণের বইয়ের জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বলতে নাম উঠে আসে শিক্ষা সংঘের। শুধু তাইই নয়, দ্বিজেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর জেষ্ঠ পুত্র সত্যনারায়ণ ব্যানার্জী ৭০ এর দশকে এই দোকান থেকেই শুরু করেন শিক্ষা সংঘ প্রকাশনীর। যদিও পরে তাদের বইয়ের বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় সেই প্রকাশনীর নাম পরিবর্তন করে করা হয় সাহিত্য নিকেতন এবং তা স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে। এই প্রকাশনী থেকে বিদ্যালয় এবং কলেজের পাঠ্য বই ছাড়াও বিভিন্ন গল্পের বইও প্রকাশিত হয়। যার মধ্যে অন্যতম মেঘমেদুর, ঝরা বকুলের মালা, জড়াসন্ধ্যর একটি রেখা প্রভৃতি। আপনার যদি বইয়ের প্রতি ভালবাসা থাকে তাহলে সিউড়ি গেলে অবশ্যই ব্রিটিশ আমলের এই বই এর দোকান ঘুরে আসতে পারেন।
সৌভিক রায়





