অ্যাপটির নাম “সে নো ক্যাস”। এটি একটি “অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপলিকেশন”। যেখানে অন্যান্য ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলি হোটেল বা রেস্টুরেন্টের খাবারের দামের চেয়েও বেশি দামে বুকিং করে সেখানে আই আইটি খড়্গপুরের প্রাক্তনী, বর্তমানে বাঁকুড়ার পুয়াবাগানের বাসিন্দা সুজয় বাগের তৈরি “সে নো ক্যাস” অ্যাপে মেনুকার্ডে নির্ধারিত কিংবা তার চেয়ে কম মূল্যে খাবার অর্ডার করতে পারবেন খুব সহজেই।
advertisement
আরও পড়ুন: ধামসা-মাদল, বাউল গান সঙ্গে রং! শান্তিনিকেতনের আদলে বসন্ত উৎসব, দোলের ছুটি নষ্ট না করে ঘুরে আসুন
লোকেশন অনুযায়ী অ্যাপেই দেখতে পাবেন সমস্ত হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টগুলি। আপনার পছন্দ মত রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করতে পারবেন অনায়েসেই। থাকছে হোম ডেলিভারি, ড্রপ ইন এবং বসে খাওয়ার সুবিধা।
ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ার প্রায় ১০ টি রেস্টুরেন্টে ,এন আই টি দুর্গাপুরে এবং কলকাতার একাধিক রেস্টুরেন্টে ব্যাবহার করা হচ্ছে এই অ্যাপলিকেশন। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যেমন ব্যাঙ্গালোর থেকেও অ্যাপটি ব্যাবহার করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করছে বহু সংস্থা।
কালপাথর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বণচিংড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন সুজয় বাগ। পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার মত পরিবেশ না পেলেও, মেধাবী সুজয় ইন্দপুর গোয়েনকা হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিকে এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বহরমপুর গভর্মেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে বি’টেক করেই আই আই টি খড়্গপুর থেকে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডাটা সায়েন্সের উপরে গবেষণা মূলক কাজ করেন তিনি। আই আই টি’তে পড়াশোনা করতে করতেই চিন্তা ভাবনা শুরু হয় “স্টার্ট আপ” করার। তবে বাড়ির আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় চাকরি করতে বাধ্য হন তিনি।
মাত্র নয় থেকে দশ মাসের এই বিরাট কর্মকাণ্ডে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকা। ইতি মধ্যেই পার্ট টাইম এবং ফুল টাইম হিসেবে “সে নো ক্যাসে” কাজ করছেন প্রায় ২০ জন। এছাড়াও মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এই অ্যাপ্লিকেশন। সুদূর কলকাতা থেকে বিষয়টি বুঝতে হাজির হয়েছেন ফুড ভ্লগার সায়ক মন্ডল ওরফে “মিস্টার ফুডি সায়ক”।
চাকরি করতে করতে বাঁকুড়ার তনয় সুজয় বাগের এই সক্রিয় প্রচেষ্টা পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভারতবর্ষের কোটি কোটি যুবককে নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে স্বনির্ভর হতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। প্রান্তিক বাঁকুড়া জেলা থেকে সুজয় বাগের “সে নো ক্যাস” অ্যাপ একটি “হার না মানা” প্রতিজ্ঞা।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি