TRENDING:

Nadia News: ৬ বছরের মেয়ের এভারেস্ট জয়!

Last Updated:

বাবা মায়ের সঙ্গে ছয় বছরের শিশুও সামিট করল মাউন্ট এভারেস্ট বেস ক্যাম্প, কোনরকম বাড়তি অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শান্তিপুর: কথায় বলে নারী শক্তির পা সব সময় এগিয়ে থাকে এক ধাপ । আর ঠিক তেমনই শান্তিপুরের ছয় বছরের এক রত্তি মেয়ে ছোট্ট ছোট্ট পায়ে পৌঁছে গেল সেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গের বেসক্যাম্পে!
advertisement

বাবা মায়ের সঙ্গে ছয় বছরের শিশুও সামিট করল মাউন্ট এভারেস্ট বেস ক্যাম্প কোনরকম বাড়তি অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই। নদিয়ার শান্তিপুরে বাড়ি, পেশায় প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক সঞ্জিত ঘোষ৷ তাঁর স্ত্রী মন্দিরা সরকারও হাই স্কুলের শিক্ষিকা। তাদের বরাবরই শখ বিভিন্ন পাহাড় পর্বত আরোহন করার। এর আগে স্বামী স্ত্রী দু’জনে মিলে একাধিক পাহাড়-পর্বত আহরণ করেছেন। তবে কন্যা সন্তান মেঘমা হওয়ার পরে ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যেও পাহাড়ের নেশা তুলে ধরেছেন বাবা-মা। আর সেই কারণেই পাঁচ বছর বয়স থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে সেও লাইন দিয়েছে পাহাড়ে চড়ার।

advertisement

আরও দেখুন সুতির বনকালী মন্দিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুর

এর আগে বাবা মায়ের সঙ্গে পাঁচ বছর বয়স থেকেই তাদের মেয়ে মেঘমা অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প এবং উত্তরাখণ্ডের হড় কি দুন যেটি প্রায় সাড়ে তিন হাজার মিটারেরও বেশি পর্বত শৃঙ্গ ছোট্ট মেঘমাও সামিট করেছে। ছোটবেলা থেকেই সে অত্যন্ত সাবলীল পাহাড় পর্বত আরোহনে। কোনরকম বাড়তি অক্সিজেন কিংবা অন্যান্য উপাদান লাগে না ছোট্ট একরত্তি শিশুটির।

advertisement

View More

আরও পড়ুন Chandrayaan sweet : চন্দ্রযানের মতো সফল হোক ভাইয়ের জীবন! ভাইফোঁটাতে পাতে স্পেশাল চন্দ্রযান মিষ্টি 

এ বছর এভারেস্ট বেস ক্যাম্প তারা যান, প্রথমে জয়নগর বর্ডার থেকে নেপালের রামেছাপ পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে তারা পৌঁছে যান বিমানে লুকলা পর্যন্ত। লুকলা থেকেই তাদের এভারেস্ট বেস ক্যাম্প পর্যন্ত শুরু হয় ট্রেকিং। লুকলা থেকে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ৫০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার আনুমানিক দূরত্বের। অতি দুর্গম সমগ্র পথটি তাদের ট্রেকিং করতে সময় লেগেছিল প্রায় আট দিন। নয় নম্বর দিনে তারা সামিট করতে পেরেছেন এভারেস্ট বেস ক্যাম্প পর্যন্ত। সঙ্গে ছিল শুধুমাত্র একজন গাইড। প্রয়োজনীয় বিশেষ উপাদান বলতে ছিল মাত্র রাত্রি বাস করার ক্যাম্প এবং কিছু খাদ্য। আর তাতেই সম্বল করে সপরিবারে তারা পাড়ি দেন এভারেস্টের পাদদেশে।

advertisement

স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষক দম্পতির সঙ্গে তাদের এক রত্তি মেয়ের পাহাড় চূড়ায় যাওয়ার ঘটনায় বিস্মিত সকলে। তার বাবার সঞ্জিত বাবু জানান, ছোটবেলা থেকেই তাদের মেয়ে তাদের সঙ্গে পাহাড় পর্বত আরোহনে অত্যন্ত সাবলীল। তাদের ইচ্ছে ভবিষ্যতে মেয়ের যদি ইচ্ছে থাকে তাহলে তারা মেয়েকে পর্বত আরোহন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করবেন। যাতে ভবিষ্যতে শুধুমাত্র বেস ক্যাম্প পর্যন্তই তার মেয়ে সীমাবদ্ধ না থাকে সে যাতে জয় করতে পারে মাউন্ট এভারেস্টের পর্বত শৃঙ্গও!

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মাটির রঙিন খেলনায় ছেয়ে গিয়েছে বাজার, চাহিদা তুঙ্গে! দাম কত জানেন?
আরও দেখুন

Mainak Debnath

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Nadia News: ৬ বছরের মেয়ের এভারেস্ট জয়!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল