Birbhum Tourism: রাজা বীরচন্দ্র থেকে নরসিংহ, আফগান-পাঠান, রাজত্ব করেছেন সবাই! বীরভূমের বড় দাবির জায়গা, ঘুরতে গিয়ে মিস করেন অনেকেই

Last Updated:
বীরভূমের এই জায়গাকে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার দাবিতে সরব রাজপরিবার ও স্থানীয়রা। বীরভূমের অতীত রাজধানীকে ঘিরে জেগে উঠেছে ঐতিহ্যের দাবি।
1/6
বীরভূম জেলার ঐতিহাসিক রাজধানী রাজনগর আজও অতীত ঐতিহ্যের গৌরব বহন করে চলেছে। কিন্তু সরকারি উদ্যোগের অভাবে এই অঞ্চল পর্যটন মানচিত্রে প্রাপ্য স্থান পায়নি। তাই রাজপরিবারের সদস্য, স্থানীয় বাসিন্দা ও ইতিহাসপ্রেমী মানুষজনের দাবি রাজনগরকে একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হোক। (ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই)
বীরভূম জেলার ঐতিহাসিক রাজধানী রাজনগর আজও অতীত ঐতিহ্যের গৌরব বহন করে চলেছে। কিন্তু সরকারি উদ্যোগের অভাবে এই অঞ্চল পর্যটন মানচিত্রে প্রাপ্য স্থান পায়নি। তাই রাজপরিবারের সদস্য, স্থানীয় বাসিন্দা ও ইতিহাসপ্রেমী মানুষজনের দাবি রাজনগরকে একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হোক। (ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই)
advertisement
2/6
ঐতিহাসিক বিবরণে জানা যায়, একসময় রাজনগর ছিল বীরভূম রাজ্যের রাজধানী। সে সময় বীরভূম ছাড়াও বিহার, সাঁওতাল পরগণা, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের কিছু অংশ রাজনগর রাজ স্টেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রাচীন কালে এখানে রাজত্ব করেছেন ওড়িশার রাজা নরসিংহদেব, সেন রাজবংশ, রাজা বীরচন্দ্র (বীররাজা) এবং পরবর্তীতে আফগান পাঠান রাজারা। বর্তমানে তাদের উত্তরসূরিরা এখানেই বসবাস করছেন।
ঐতিহাসিক বিবরণে জানা যায়, একসময় রাজনগর ছিল বীরভূম রাজ্যের রাজধানী। সে সময় বীরভূম ছাড়াও বিহার, সাঁওতাল পরগণা, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের কিছু অংশ রাজনগর রাজ স্টেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রাচীন কালে এখানে রাজত্ব করেছেন ওড়িশার রাজা নরসিংহদেব, সেন রাজবংশ, রাজা বীরচন্দ্র (বীররাজা) এবং পরবর্তীতে আফগান পাঠান রাজারা। বর্তমানে তাদের উত্তরসূরিরা এখানেই বসবাস করছেন।
advertisement
3/6
রাজনগরে এখনও টিকে আছে একাধিক প্রাচীন স্থাপনা। যেগুলি হল, রাজনগর রাজবাড়ি, ইমামবাড়া, হামামখানা, টেরাকোটার কারুকাজে সজ্জিত মতিচূড়া মসজিদ, ঐতিহাসিক কালীদহ পুকুর ও তার মাঝখানে হাওয়াখানা বা হাওয়ামহল, সাঁওতাল বিদ্রোহের স্মৃতিবিজড়িত গাবগাছ ও ফাঁসিঘর। এই সব নিদর্শন আজও দেশ-বিদেশের ইতিহাসপ্রেমীদের আকৃষ্ট করে।
রাজনগরে এখনও টিকে আছে একাধিক প্রাচীন স্থাপনা। যেগুলি হল, রাজনগর রাজবাড়ি, ইমামবাড়া, হামামখানা, টেরাকোটার কারুকাজে সজ্জিত মতিচূড়া মসজিদ, ঐতিহাসিক কালীদহ পুকুর ও তার মাঝখানে হাওয়াখানা বা হাওয়ামহল, সাঁওতাল বিদ্রোহের স্মৃতিবিজড়িত গাবগাছ ও ফাঁসিঘর। এই সব নিদর্শন আজও দেশ-বিদেশের ইতিহাসপ্রেমীদের আকৃষ্ট করে।
advertisement
4/6
রাজপরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, কেবল কয়েকটি স্থানের সামান্য সংস্কার করা হলেও অধিকাংশ স্থাপনা অবহেলায় ধ্বংসের মুখে। সরকারি উদ্যোগের অভাবে এই ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনগুলি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
রাজপরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, কেবল কয়েকটি স্থানের সামান্য সংস্কার করা হলেও অধিকাংশ স্থাপনা অবহেলায় ধ্বংসের মুখে। সরকারি উদ্যোগের অভাবে এই ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনগুলি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
advertisement
5/6
রাজনগরকে যদি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তবে এই অঞ্চলটি হয়ে উঠতে পারে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ঐতিহাসিক পর্যটন আকর্ষণ। এতে কেবল ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবনই নয়, স্থানীয় মানুষের উন্নয়নও ঘটবে বলে মনে করেন রাজপরিবার ও বাসিন্দারা।
রাজনগরকে যদি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তবে এই অঞ্চলটি হয়ে উঠতে পারে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ঐতিহাসিক পর্যটন আকর্ষণ। এতে কেবল ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবনই নয়, স্থানীয় মানুষের উন্নয়নও ঘটবে বলে মনে করেন রাজপরিবার ও বাসিন্দারা।
advertisement
6/6
পর্যটকদের মত,
পর্যটকদের মত, "রাজনগরের ইতিহাসকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হলে আগে নিদর্শনগুলির সংরক্ষণ ও পর্যটন সুবিধার উন্নয়ন প্রয়োজন।" রাজনগর কেবল একটি স্থান নয়, এটি বীরভূমের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতীক। (ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই)
advertisement
advertisement
advertisement