জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ওই যুবতীর নাম মানালি ঘোষ (২৫)৷ তিনি চন্দননগরেরই বৌবাজার বটতলা এলাকার বাসিন্দা৷ স্থানীয় শীতলাতলা এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে বছর তিনেক আগে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয় ওই যুবতীর৷ আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বিয়ে দিন ঠিক হয়েছিল৷
মানালির পরিবার সূত্রে খবর, গত তিন বছর ধরে তিনি চন্দননগরেরর বাগবাজারে জি টি রোডের পাশের একটি গয়নার দোকানে সেলস গার্লের কাজ করতেন। যুবতীর পরিবার জানিয়েছে, গত তিন দিন ধরে মানালির কাজের জায়গায় কোনও সমস্যা দেখা দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একদিন দোকানের বাইরে মানালিকে কান্নাকাটি করতেও দেখা যায়।
advertisement
এ দিনও সকালে ওই গয়নার দোকানে কাজে যান মানালি৷ সেখান থেকে বেরিয়ে নিজের হবু স্বামী সত্যজিৎকে ফোন করেন তিনি৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ চন্দননগরের স্ট্যান্ড এলাকায় গঙ্গার ধারে গিয়ে বসে থাকেন মানালি৷ তার পর মোবাইলের নীচে সুইসাইড নোট রেখে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন তিনি৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চন্দননগর থানার পুলিশ৷ নিখোঁজ যুবতীর খোঁজে নামানো হয় ডুবুরি এবং স্পিডবোট৷
পুলিশ জানিয়েছে,মানালি যেখানে কাজ করতেন সেই দোকান কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে লেখা সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে।তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।দোকানে গিয়ে অন্যান্য কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। দোকানের একজন মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকও করা হয়৷
যুবতীর ভাসুর শুভজিৎ রায় বলেন, ‘কাজের জায়গায় কোনও একটা সমস্যা চলছিল, তবে সেটা ঠিক কী আমরা বলতে পারব না। আজ সকালেও দোকানে ঝামেলা হয়, তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে যায় আমার ভাইকে ফোন করে মানালি জানায় যে ওই দোকানের কাজটা আর নেই। ভাই একটি কারখানায় কাজ করে। চন্দননগর স্ট্যান্ডে মানালিকে বসতে বলে ও দ্রুত সেখানে পৌঁছয়৷ কিন্তু তার আগেই গঙ্গায় ঝাঁপ দেয় মানালি৷’
যে দোকানে মানালি কাজ করতেন, তার একজন কর্ণধারের দাবি, ওই যুবতীর মানসিক সমস্যা ছিল৷ যদিও এই দাবি মানতে চাননি নিখোঁজ যুবতীর বাবা এবং প্রতিবেশীরা৷ যে দোকানে কাজ করতেন মানালী সেখানে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলেই মেয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ মানালির বাবা মানস ঘোষের।