আরও পড়ুন: জাহাজ দিয়ে ধাক্কা মেরে ভারতের ট্রলার ডুবিয়ে দেওয়া নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল বাংলাদেশের নৌসেনা
স্বামীর বীরত্বের কথা বলতে গিয়ে চোখের কোণে অশ্রু ঝরে পড়ে নিভা রানি বিশ্বাসের। কাঁপা গলায় তিনি বলেন, “আমি গর্বিত, আমার স্বামী পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে এবং ভারতের সম্মান রক্ষা করেছে।” দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, তিনি ত্রিপুরা থেকে রাজপুত সৈনিকদের সঙ্গে চট্টগ্রামে পৌঁছে ১৬ দিন পায়ে হেঁটে গোলাবারুদ ও অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। পাকিস্তানি সেনাদের পরাস্ত করে বন্দি করে জাহাজে কলকাতায় পাঠানো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারত সরকারের তরফে তিনি আটটি পদক পান।
advertisement
এই দিনটি উপলক্ষে কৃষ্ণগঞ্জে দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা সাত জন শহীদ ভারতীয় সেনার সমাধি নতুন করে চিহ্নিত ও পরিষ্কার করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন সেনা মধুসূদন বাবু আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, রাজনৈতিক কারণে মৃত্যুকে ঘিরে শহীদ দিবস পালন হলেও দেশের জন্য প্রাণ বলিদান দেওয়া সেনাদের অনেক সময় ভুলে যাওয়া হয়।
এদিন বিএসএফের আধিকারিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে সব রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বিজয় দিবসে কৃষ্ণগঞ্জে এই অনুষ্ঠান বীর যোদ্ধা ও শহীদ সেনাদের প্রতি এক অনন্য সম্মান ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।





