টেকসই নিম কাঠ ও মূল্যবান মেহগনি কাঠ দিয়ে নির্মিত এই রথে যেমন আছে মজবুত কাঠামো, তেমনই রয়েছে চোখধাঁধানো কারুকার্য। রামকৃষ্ণবাবুর কথায়, “এই রথটি তাঁর ভালবাসা, কৃতজ্ঞতা ও আত্মিক শ্রদ্ধার প্রতীক। এটি শুধুমাত্র একটি কাঠামো নয়, তাঁর স্বপ্ন ও আবেগের বহিঃপ্রকাশ।”
advertisement
প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে, একান্ত নিজের সঞ্চিত অর্থেই তৈরি হচ্ছে এই রথ। তাঁর ইচ্ছা, যেসব গ্রামে এখনও রথযাত্রার আয়োজন হয় না, সেসব গ্রামে পাঠান হোক এই রথ, যাতে সর্বসাধারণ ভক্তি ও আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে তা পুজো করতে পারেন।গ্রামের বাসিন্দারাও এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন। কেউ কাঠ বয়ে দিচ্ছেন, কেউ রথের সাজসজ্জায় সাহায্য করছেন।
গোটা গ্রামজুড়ে যেন উৎসবের পরিবেশ। রথের কাজ এখন প্রায় শেষের পথে। সম্পূর্ণ হবে প্রস্তুতি, এরপর রথটি যাত্রা শুরু করবে তার মহৎ উদ্দেশ্যের পথে।রামকৃষ্ণ সূত্রধরের এই নিঃস্বার্থ প্রয়াস সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা দেয় সীমিত সামর্থ্য থেকেও বিশ্বাস, ভালবাসা ও শ্রদ্ধা নিয়ে অনেক বড় কিছু করা যায়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





