জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতা প্রচার করছেন আধিকারিকেরা। বাল্যবিবাহ রোধে একাধিক জায়গায় কড়া হাতে পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। তবে প্রশাসনের সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরাতে তিনটি বিয়ের আয়োজন হয়েছিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সপ্তম, নবম এবং একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া তিন ছাত্রীর বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নলেন গুড়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে! আগামী দিনে নাও পাওয়া যেতে পারে খাঁটি খেজুর রস, আশঙ্কা শিউলিদের
তিনটি পৃথক গ্রামে পৌঁছে গিয়ে বিয়ে আটকালেন জেলা শিশু কল্যাণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ থেকে প্রশাসনের আধিকারিকেরা। নবম শ্রেণীর পড়ুয়ার ডেবরা গ্রামে বিয়ের ব্যবস্থা হয়েছিল। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পরেই বিয়ের আয়োজন করা হয়। জানতে পেরেই পুলিশ ও শিশু কল্যাণ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে পৌঁছে যান শান্তি টুডু। মেয়েকে মামার বাড়িতে পাঠিয়ে সেখানেই বিয়ের ব্যবস্থা হয়েছিল বলে জানতে পারে প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ পুলিশের মানবিক রূপ! বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর জন্য যা করলেন কান্দির আইসি, গর্বিত সকলে
তাকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনা হয় গ্রামে। শান্তি টুডু বলেন, বৃহস্পতিবার ডেবরা থানা এলাকায় তিনটি নাবালিকার বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। দুপুরের পর থেকে খবর পেয়ে তিন পৃথক জায়গায় পৌঁছে বিয়ে আটকানো গিয়েছে। মুচলেকা নেওয়ার পাশাপাশি প্রতিমাসেই ওই নাবালিকা ও তার পরিবারের সদস্যদের শিশু কল্যাণ দফতরে হাজিরা হওয়ার কথা জানিয়ে আসা হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া এক ছাত্রীর বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল এদিন। সেখানেও পৌঁছে যায় প্রশাসন। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পরেই তার বিয়ের ব্যবস্থা করে পরিবারের লোকেরা। এদিকে একাদশ শ্রেনীর পড়ুয়ারও বাড়িতে বিয়ের তোড়জোড় চলছিল। বাড়িতে আত্নীয়-স্বজন পৌঁছে যান। হাতে শাঁখা পলা পরিয়ে দেওয়া হয় নাবালিকার। রাতেই বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। জানতে পেরে সেখানেও পৌঁছে গিয়ে পরিবারের থেকে মুচলেকা নেন প্রশাসনের কর্তারা।
তবে এত বাধা, এত প্রচার ও প্রসারের পর কীভাবে লুকিয়ে বিয়ের আয়োজন করছে বাড়ির লোকজন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও আগামীতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সচেতনতামূলক কর্মসূচি, বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলোতে একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।






