দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই প্রাথমিক স্কুলটির তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে বর্তমানে কোনও ছাত্রছাত্রী নেই। স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মীরানি জানা শাসমল জানালেন, আগে এই প্রাথমিক স্কুলটিতে পড়ুয়ার সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। এলাকার মধ্যে নামও ছিল যথেষ্ট। কিন্তু কিছু বছর আগে কয়েকজন শিক্ষকের অবসর এবং আরও কয়েকজন শিক্ষক অন্যত্র বদলি হয়ে যান। এরপর পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে স্কুলটির মান পড়তে থাকে। ফলে অভিভাবকরা সন্তানদের এলাকার অন্য প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করেন। করোনার সময় স্কুলছুট হয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আরও কমে যায়। তবে সম্প্রতি নিচু ক্লাসে কয়েকজন পড়ুয়া ভর্তি হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তারাও নিয়মিত স্কুলে আসে না।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ দিনই স্কুলে এসে একা বসে থাকেন প্রধান শিক্ষিকা। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে না আসায় বেঞ্চ-টেবিলে ধুলো জমছে, ক্লাসরুমগুলো কালেভদ্রে খোলা হয়। এই পরিস্থিতিতে স্কুলটির একমাত্র শিক্ষিকার দাবি, তাঁকেও অন্য স্কুলে বদলি করে দিয়ে এই রসময় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করে দিক সরকার! বেশিরভাগ দিন ছাত্রছাত্রী শূন্য স্কুলে একা বসে থাকতে হওয়ায় তিনিও অস্বস্তিতে ভুগছেন।
নবাব মল্লিক





