পুরসভা এলাকার অন্যতম বড় এবং নামী এই স্কুলে ৫০০ এরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে৷ গ্রামের সাধারণ প্রাইমারি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী সেভাবে দেখা যায় না কিন্তু এই স্কুলে একেবারেই অন্য চিত্র।এ ব্যাপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দূর্বা কর দত্ত জানান অনেকদিন থেকেই এখানে এই নিয়ম চলছে।কেন এই রীতি? প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘সব ধরনের আর্থিক অবস্থার ছেলেমেয়েই এই স্কুলে পড়ে। ব্যাগ আনলে গরীব পড়ুয়া এক রকম আনবে, অবস্থাপন্ন পড়ুয়ারা অন্য রকম আনবে। কারও হীনমন্যতা তৈরি হতে পারে। বাক্সের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। সকলেরই এক রকম।’’
advertisement
আরও পড়ুন : মৃতদেহ দাহ থেকে অন্য কাজ, রাজ্যের এই শ্মশানে একাই একশো টুম্পা!
আরও পড়ুন: স্কুলের বেহাল দশার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছাত্রছাত্রীদের
ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারটাও মাথায় আছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। দুর্বা বলেন, ‘‘পিঠে ভারী ব্যাগ নিলে পরবর্তীকালে নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বাক্সের ক্ষেত্রে সেই অসুবিধা নেই।পাশাপাশি এই নিয়মে খুশি অভিভাবকরা। আমাদেরকে এক অভিভাবক মৌমিতা মন্ডল জানান ব্যাগের থেকে বাক্সে বইখাতা ভালো থাকে, পাতা মুড়ে বই বা খাতা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় না এবং স্কুলে শিক্ষকরা কোন কিছু লিখতে দিলে তাতে বাচ্চাদের অনেকটাই সুবিধে হয় বক্সের উপর ফেলে লিখতে। আবার এক্ষেত্রে অনেকেও মনে করছে ব্যাগের ভারটা বাচ্চাদের সরাসরি হাড় বা পিঠে পড়ে না।
সুমন সাহা





