স্কুলের শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অভিভাবকদের অভিযোগ আমফান ঘূর্ণিঝড়ের সময় ওই স্কুলের ছাদ উড়ে গিয়েছে। তারপর থেকেই অকেজো হয়ে পড়েছে স্কুল গৃহ। সেই থেকে স্কুলের রান্না ঘরের বারান্দাতেই শিশু শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের বসিয়ে কোনওরকমে ক্লাস নেওয়া হয়। স্কুলের মিডডে মিলের রান্নার সময় উনুনের ধোঁয়াতে প্রচন্ড চোখ মুখ জ্বালা করে পড়ুয়াদের। একইভাবে উনুনের ধোঁয়াতে শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট হয় শিক্ষিকাদের। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বিডিও অফিস সহ বিভিন্ন দফতরে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: সাপ কখনও নিজে থেকে কামড়ায় না! তাহলে কেন কামড়ায়? বাঁচার উপায় বলছেন চিকিৎসক!
স্কুল গৃহ অকেজো হয়ে পড়ায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে পড়ুয়াদের সংখ্যা। আগে স্কুলটিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ১০০ বর্তমানে তা কমে গিয়ে হয়েছে ২৭ । এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী কয়েকবছরের মধ্যে এই স্কুলটি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্কুলের শিক্ষিকা থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা। যদিও এই বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শ্রীমন্ত কুমার মালি জানান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি স্কুলের ছাদ তৈরির জন্য ৭ লক্ষ টাকার একটি স্কিম তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ওখানকার কিছু গ্রামবাসী সেই কাজ করতে দেয়নি। তাদের দাবি ছিল স্কুলটিতে কংক্রিটের ঢালাইয়ের ছাদ করে দিতে হবে। কিন্তু ৭ লক্ষ টাকায় পাকাপোক্ত ছাদ নির্মাণ সম্ভব নয়। তবে আমি নতুন পদে নিযুক্ত হয়েছি, দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।
নবাব মল্লিক