পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা পৌরসভার অন্তর্গত ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ওই বৃদ্ধা তাঁর ঘরে একাই থাকতেন। স্বামী গুণধর বেরা এবং তিনি নিজেও মহেশতলা পৌরসভায় চাকরি করতেন। তাঁর দুই মেয়ে এবং এক ছেলে বিয়ের পর থেকে যে যার মতো আলাদাই থাকেন। পেনশনের পয়সাতেই চলত বৃদ্ধার সংসার।
advertisement
আরও পড়ুন: শরীর থেকে আলাদা পড়ে মাথা! রাস্তার ধারে পরিচিতের দেহ ঘিরে বিরাট চাঞ্চল্য হেমতাবাদে
প্রতিবেশীদের দাবি সন্তানেরা সম্পত্তির অংশ বুঝে নেওয়ার পর থেকেই এই বৃদ্ধার সঙ্গে সন্তানদের সেই অর্থে কোনও প্রকার যোগাযোগ ছিল না।
প্রতিবেশীদের দাবি, অনাহার এবং অনাদরেই সম্ভবত এই বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন। গতকাল থেকে বৃদ্ধার কোনও প্রকার সাড় শব্দ শুনতে না পেয়ে প্রতিবেশী কয়েকজন যুবক ঘুরে উঁকি মেরে দেখতে পান, বৃদ্ধা ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। তাঁরাই খবর দেন মহেশতলা থানায়।
আরও পড়ুন: স্ত্রী-ছেলেকে মুখে পলিথিনের ব্যাগ পেঁচিয়ে খুন, পরে আত্মঘাতী বাঙালি ইঞ্জিনিয়র!
মহেশতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বৃদ্ধার ছেলে রূপাঞ্জন বেরাকে ফোনের মাধ্যমে ডেকে পাঠায়। তাঁর উপস্থিতিতেই ঘর খুলে ওই বৃদ্ধার মৃতদেহটি ঘরের বাইরে এনে ময়নাতদন্তের জন্য বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পরেই বৃদ্ধার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন মহেশতলা থানার তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
নবাব মল্লিক






