বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার বয়ে যাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সঙ্গে নদী ও সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আর যার জেরে চিন্তায় মৎস্যজীবীরা।
এ বছর বার বার একাধিক কারণে সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের। আবার নতুন করে দুর্যোগের আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা, রায়দীঘি-সহ একাধিক মৎস্যবন্দর ও জেটিঘাটে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে সোমবার সকালের মধ্যে সমস্ত ট্রলার ফিরে এসেছে।
advertisement
এ ভাবে মাঝপথে মৎস্য আরোহন বার বার বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় ব্যবসায়ে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন মৎস্যজীবীরা। দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মাছধরা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সদস্যরা।
সুন্দরবনের বাসিন্দারা আমফান, ইয়াস-সহ একাধিক দুর্যোগের সময় নদীবাঁধ চোখের সামনে ভেঙে যেতে দেখেছেন। সে সময় গৃহহারা হয়ে ফ্লাড শেল্টারগুলিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দা।
আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, কর্নাটক, রাজস্থানের বিস্তীর্ণ অংশে ভারী বৃষ্টি, জারি লাল ও কমলা সতর্কতা
নতুন করে দুর্যোগের আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন যথেষ্ট চিহ্নিত। ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকাগুলিতে করা হচ্ছে মাইকপ্রচার। নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপরেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সুন্দরবনের একাধিক বিডিও অফিসগুলিতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
আরও পড়ুন : পা কামড়ে ধরে যুবককে নদীতে টেনে নিয়ে গেল কুমির, আতঙ্কে শঙ্কিত গুজরাত
১১ অগাস্ট রয়েছে পূর্ণিমা । আর তার জেরে জলস্তর অনেকটাই বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সমস্ত পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানানো হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নতুন করে এই দুর্যোগের আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় যথেষ্ট চিহ্নিত উপকূলীয় এলাকার মানুষজন।