সংশ্লিষ্ট পার্কটি ঘুরে দেখেন প্রেমেন্দ্র রাজ মেহতা। শিলিগুড়ি পুরনিগমের উদ্যান ও কানন বিভাগের মেয়র পারিষদ সিক্তা বসু রায় ও অন্য আধিকারিক তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। মেয়র গৌতম দেব প্রেমেন্দ্রর সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে জানান পার্কের লেকের জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বোটিং দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ। যার ফলে দামি নৌকোগুলি পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। লেকের জল নোংরা হয়ে গিয়েছে। লেকের চারপাশে থাকা লোহার রেলিংয়ের অবস্থাও খারাপ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কলকাতার অদূরে অফবিট পিকনিক স্পট! বছর শুরুর দিনে ঘুরে আসুন 'পয়লা নম্বরে'
প্রেমেন্দ্র দীর্ঘক্ষণ ধরে গোটা পার্কটি পরিদর্শন করেন। তাঁর কথায়,‘গোটা পার্কটিকে নতুন রূপ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ জন্য ছোটখাটো বেশ কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। একইসঙ্গে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। সেটি নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। 'ছুটির দিনে পার্কে শিশুদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। রক ক্লাইম্বিং করার ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অতীতে উৎসাহ দেখা গিয়েছে। কিন্তু দক্ষ কর্মীর অভাবে রক ক্লাইম্বিংটি চালানো সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে গৌতম দেব বলেন, 'সূর্য সেন পার্কটি নিয়ে প্রেমেন্দ্র একটি ‘কনসেপ্ট ড্রয়িং’ সচল রাখতে তা ন্যাফের মতো সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়েও কথাবার্তা শুরু হয়েছে। টয়ট্রেনের জন্য সুড়ঙ্গ তৈরি করা হবে। শনি, রবিবার এবং জাতীয় ছুটির দিনগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলকে ডাকা হবে। উৎসাহদানের জন্য অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যা খরচ হবে তার একটি অংশ আমরা দেব।'
তাঁর সংযোজন, ‘জলাধারটি জল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে নীচের অংশে লাইনিংয়ের কাজ করা হবে। নতুন করে মাছ ছাড়া হবে। পার্কের মধ্যে ক্যাফেটারিয়া তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।' পাশাপাশি গোলাপ বাগানটি আরও সুন্দর করে তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিছু উন্মুক্ত নালা ঢেকে দেওয়া হবে। পার্কের মধ্যে অল্পবিস্তর কংক্রিটের পরিকাঠামো তৈরি হবে। তবে সবুজায়নের ওপর বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। পার্কে প্রবেশের গেটটি নতুন করে তৈরি করা হবে।
অনির্বাণ রায়





