সারা বছরই কম-বেশি পর্যটকদের আনাগোনা হয়ে থাকে মানভূমে। পুরুলিয়ার অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি পর্যটকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে পাখি পাহাড়। জায়গাটির নাম শুনে মনে হতেই পারে বহু পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা হয় এই পাখি পাহাড়ে। কিন্তু বাস্তবে এমনটা নয়। এই পাহাড়ের মূল আকর্ষণ হল পাহাড়ের গায়ে তৈরি করা শিল্পকলা। পাহাড়ের পাথর কেটে অজস্র পাখির ছবি আঁকা রয়েছে এই পাহাড়ে। তাই এই পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য দেখতে পর্যটকেরা ছুটে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ১০০ মিটার দূরত্বেও দেখা যাচ্ছে না কিছু, শীতের নাচন শেষে ঘন কুয়াশায় ঢেকে জলপাইগুড়ি-সহ ডুয়ার্স
বাঞ্জমানায় এই পাখি পাহাড়কে নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রয়াস করা হয়েছিল। শিল্পী চিত্ত দে অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন এই টিলাটিকে কেটে চিত্রকলার মাধ্যমে উড়ন্ত পাখির একটি রূপ দিতে চেয়েছিলেন। তাই পাথরটিকে নিজের জায়গাতে রেখেই পাথরের গায়ে খোদাই করে বিভিন্ন আকৃতির পাখির চিত্র আঁকা হয়েছিল। এলাকার স্থানীয় লোকেরা একত্রিত হয়ে একপ্রকার জীবনে ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের উপরে বিভিন্ন চিত্রকলার মাধ্যমে খোদাই কাজ শুরু করেন। তাঁদেরকে নেতৃত্ব দেন শিল্পী চিত্র দে। মোট ৬৫টি ডানামেলা পাখির ভাস্কর্য খোদাই করা হয় গোটা পাহাড়জুড়ে। এই পাখি পাহাড় আজও তাই পর্যটকদের বড়ই প্রিয়। পাখি পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ পর্যটকেরা।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক ইংরেজিতে ভয়েস চেঞ্জের ভয় কাটান, উপায় দিলেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের শিক্ষক
এই পাহাড়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকার মানুষদের রুটি-রুজি চলে। সারা বছরে তিন থেকে চার মাস ট্যুর গাইড হিসেবে কাজ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে এলাকার বেশ কিছু মানুষ। মাত্র স্বল্প টাকার বিনিময়ে তাঁরা ঘুরিয়ে দেখান সম্পূর্ণ পাখি পাহাড়। বলে দেন এই পাহাড় তৈরির ইতিহাসও। বিগত দু-বছরে করোনার কারণে পর্যটকদের ভিড় সেভাবে না হলেও এ বছর পর্যটকদের যথেষ্ট ভিড় রয়েছে বলে জানান গাইডরা।
টলিউডের বহু বিখ্যাত সিনেমার শ্যুটিংও হয়েছে এই পাখি পাহাড়ে। তাই পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের আরও একটি কারণ এই পাখি পাহাড়। পুরুলিয়ার অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি পাখি পাহাড়ে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি





