ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ শুরু হলেও উত্তুরে হওয়ার দাপট কম। তাপমাত্রার পারদ কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। জাঁকিয়ে শীত পড়তে দেরি হলেও, পিকনিকের দেরি নেই। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল ব্লকের গেঁওখালি রূপনারায়ণ, হুগলি ও গঙ্গা নদীর সঙ্গমস্থল। প্রতিবছর শীতকালে বহু মানুষ আছেন পিকনিকে। এই পিকনিক স্থলেই রয়েছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষের গেস্ট হাউস ত্রিবেণী সঙ্গম। আর পাশেই রয়েছে পিকনিকের জন্য গাছ-গাছালি ঘেরা বিশাল মাঠ। মাঠে পিকনিকের জন্য জনপ্রতি এন্ট্রি ফি ৫০ টাকা। মাঠের মধ্যে বড় পুকুরে বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও চিলড্রেন পার্ক রয়েছে গেঁওখালিতে।
advertisement
গেঁওখালি তিনটি নদীর সঙ্গমস্থল, তাই মাছ ধরার নৌকোর আনাগোনা। আর জলপথ ধরেই হলদিয়া বন্দর থেকে কলকাতা বন্দর যায় জাহাজ। ফলে জাহাজ ও নৌকোর আনাগোনায় সময় পার হয়ে যাবে। শুধুমাত্র গেঁওখালিতে পিকনিকের জন্য নয় যে কোন ছুটির দিন গেঁওখালি ঘোরার জন্য আদর্শ জায়গা।
আরও পড়ুনঃ লাল শাড়িতে পহেলিকে লুকিয়ে দেখছেন শতরূপ! বিয়ের মিষ্টি মুহূর্ত ফাঁস, দেখুন অ্যালবাম
কলকাতা থেকে গেঁওখালির দূরত্ব ১১৫ কিলোমিটার। মেচেদা থেকে গেঁওখালির দূরত্ব ৪১ কিলোমিটার। হলদিয়া থেকে গেঁওখালির দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। হাওড়া-হলদিয়া লোকালে চেপে সতীশ সামন্ত রেল স্টেশনে নেমে টোটো, অটো বা বাসে করে যাওয়া যায় গেঁওখালিতে। আবার মেছেদা থেকে হলদিয়াগামী ভায়া তমলুক বাসে চেপে মহিষাদল সিনেমা মোড় বাস স্টপেজে নেমে গেঁওখালি যাওয়া যায়। গেঁওখালির রুটে বাস চলাচল করে। গেঁওখালি থেকে হাওড়া জেলার গাদিয়াড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নূরপুর জলপথে ফেরি সার্ভিস রয়েছে প্রতিদিন।
গেঁওখালিতে থাকতে চাইলে আপনাকে আগে থেকেই ঘর বুক করতে হবে। গেঁওখালিতে বর্তমানে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের গেস্ট হাউস রয়েছে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে বুক করা যায়। www.hda.gov.in গেস্ট হাউসের নাম ত্রিবেণী সঙ্গম। গেস্ট হাউসের দুটি তলে বেশ কয়েকটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুন্দর ঘর রয়েছে। যেগুলির ভাড়া ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা প্রতিদিন।
Saikat Shee